ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রী হত্যায় স্বামী ও পরকীয়া প্রেমিকার ফাঁসির রায়

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

স্ত্রী হত্যায় স্বামী ও পরকীয়া প্রেমিকার ফাঁসির রায়

কোর্ট রিপোর্টার ॥ সাভারে স্ত্রী শামীমা আক্তার হেপী হত্যা মামলায় স্বামী শামীমার স্বামী মুকুল হোসেন মোল্লা এবং তার পরকীয়া প্রেমিকা লাভলী আক্তার নীলুফার ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এসএম কুদ্দুস জামান এ রায় ঘোষণা করেন। মুকুল হোসেন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার ময়েনদিয়া শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াজেদ মোল্লার ছেলে। রায় ঘোষণাকালে মুকুলকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। নীলুফা মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে মুকুলের সঙ্গে শামীমার বিয়ে হয়। ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি শামীমা নিখোঁজ হন। পরদিন তার স্বামী মুকুল সাভার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। কিন্তু আসামি মুকুলের গতিবিধি শামীমার ভাই সাইফুল ইসলামের সন্দেহজনক মনে হলে তিনি সাভার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে নিজ ফ্যাক্টরিতে কর্মরত দুই সন্তানের জননী লাভলী আক্তার নীলুফার সঙ্গে মুকুলের পরকীয়ার কথা। মুকুল, নীলুফা এবং আরও এক নারী মিলে ২০১২ সালের ৭ জানুয়ারি শামীমাকে হত্যা করে। পরে মুকুল হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। জানা যায়, বিয়ের আগে মুকুল সাভারের গেন্ডায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। শামীমা বিয়ের আগে রাজধানীর ডেমরায় বেসরকারী মানবিক সাহায্য সংস্থায় হিসাব রক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর তিনি সাভার শাখায় চলে যান এবং সাংসারিক জীবন শুরু করেন।
×