ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফেসবুক কমেন্টের জন্য নির্যাতন

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

ফেসবুক কমেন্টের জন্য নির্যাতন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কেউ ছবি পোস্ট করলে কিংবা স্ট্যাটাস দিলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা লাইক, কমেন্টের ঝড় তুলে দিই। তাতে ওই বন্ধু অনেক খুশি হয়। শুরু হয় পাল্টা লাইক, কমেন্টের বন্যা। এ যেন আমাদের দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে লাইক, কমেন্ট পাওয়ার কারণে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনা বিরল। এমনটা ঘটেছে উরুগুয়ের নারী এ্যাডলফিনা ক্যামেলি অর্তিগোজার ক্ষেত্রে। স্বামীর অত্যাচারের শিকার অর্তিগোজাকে গত সপ্তাহে বন্দী অবস্থায় পুলিশ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। ২১ বছর বয়সী অর্তিগোজা ফেসবুকে নিজের ছবি পোস্ট করতে পছন্দ করেন। বন্ধুরা তাতে লাইকও দিত। কিন্তু এটা মোটেও সহ্য করতে পারতেন না তার স্বামী পেড্রো হেরিবার্টো গ্যালিনো। যখনই অর্তিগোজার ছবিতে কেউ লাইক দিত সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীকে মারতে শুরু করতেন তিনি। মারতে মারতে এমনই অবস্থা করেছেন যে স্ত্রীর চেহারাটাই বিকৃত হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অর্তিগোজার চেহারা এতটাই বীভৎস দেখাচ্ছে যে প্লাস্টিক সার্জারির কোন বিকল্প নেই। অর্তিগোজার আইনজীবী এর্নাল্ডো মার্টিনিজ বলেছেন, মেয়েটিকে এমনভাবে মারা হয়েছে যে তার মুখের হাড় ভেঙ্গে গেছে, চামড়া ঝুলে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, অর্তিগোজার স্বামী ফেসবুকে দেয়া তার প্রতিটা ছবি, কিংবা পোস্টে লাইক পাওয়ার জন্য তাকে ভয়ঙ্করভাবে পেটাতেন। কারণ, মেয়েটির স্বামীর ধারণা ছিল, যারাই তার স্ত্রীর ছবি কিংবা পোস্টে লাইক দেয় তাদের সবার সঙ্গে অর্তিগোজার অনৈতিক সম্পর্ক আছে। মারার সময় মেয়েটি যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য তার মুখে কাপড় গুঁজে দিত স্বামী। স্ত্রীর প্রতি এমন বর্বর আচরণ দেখে গ্যালিনোর বাবা উদ্যোগী হয়ে পুলিশে ঘটনাটি জানান। উদ্ধারের পর অর্তিগোজাকে তার নিজের কয়েকটি ছবি তুলে দেখানো হয়; যা দেখে কিছুতেই তিনি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ছবিগুলো তার। পারিবারিক সহিংসতা আইনে গ্যালিনোকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনজীবীদের ধারণা, স্ত্রীর ওপর এমন অত্যাচারের অপরাধে গ্যালিনোর সর্বোচ্চ ৩০ বছর কারাদ- হতে পারে। Ñডেইলি মেইল অবলম্বনে
×