ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কঠোর অবস্থানে

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৩০ নভেম্বর ২০১৭

কঠোর অবস্থানে

বিভাষ বাড়ৈ ॥ আইন অমান্য করা দেশের ৪৯ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবার লাগাম টানতে চায় সরকার। পাঁচ দফা আল্টিমেটামের পর আর নতুন করে সময় দিতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে ব্যর্থ হলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রাখার কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতির সন্তোষজনক সমাধানের আশায় আগামী ৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা। এদিকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের করা র‌্যাঙ্কিংকে ঘিরে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারের কাছে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের করা র‌্যাঙ্কিংয়ের কোন গুরুত্ব নেই। র‌্যাঙ্কিং নিয়ে বিতর্ক তুলেছে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। জানা গেছে, স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে গত কয়েক বছরে ৫ দফায় আল্টিমেটাম দিয়েছে সরকার। এরপর কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের আদেশ মানলেও অধিকাংশই তা মানেনি। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুসারে এসব বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কিছু বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এখনও তাদের ন্যূনতম শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এভাবে তারা বেশিদিন চলতে পারবে না। যেসব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সফল হতে পারেনি, যারা নির্ধারিত শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আমাদের আর কোন পথ খোলা নেই। যে কোন মূল্যে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নত অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী মাসের পর আর সময় দেয়া হবে না। মন্ত্রণালয় কঠোর পদক্ষেপ নেবে। আর ছাড় নয়। আইন না মানা মোট ৪৯ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের লাগাম এবার টানা হবে। ইতোমধ্যেই এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বলা হয়েছে। তবে মামলা ও প্রতিষ্ঠার সময় তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী বছরের জুনের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার আলটিমেটাম দিয়ে সরকার বলেছে, না গেলে জুলাই থেকে ভর্তি বন্ধ রাখতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জিন্নাত রেহানা স্বাক্ষরিত সরকারের এই নির্দেশনা ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী সাময়িক সনদের মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৯টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর সংক্রান্ত গঠিত কমিটি বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আগামী জানুয়ারি থেকে ছাত্র ভর্তি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কিনলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণকাজ শুরু করেনি। মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ আরও কয়েকটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে সতর্কবার্তা দিয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রী ভর্তি বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। এদিকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের করা র‌্যাঙ্কিংকে ঘিরে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সরকারের কাছে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের করা র‌্যাঙ্কিংয়ের কোন গুরুত্ব নেই। র‌্যাঙ্কিং নিয়ে বিতর্ক তুলেছে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১০ নবেম্বর একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের করা র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় যথাক্রমে নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি ও ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। বাংলা ট্রিবিউন-ঢাকা ট্রিবিউনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। গবেষণাটি পরিচালনা করে ওআরজি কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দেশের ৮৩ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাছাই করে ৩২টিকে নেয়া হয়েছিল। এর মধ্য থেকেই গবেষণার মাধ্যমে সেরা ২০টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, র‌্যাঙ্কিংয়ের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ পঞ্চম, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ষষ্ঠ, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি সপ্তম এবং অষ্টম স্থানে রয়েছে দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক। এছাড়া ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নবম এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দশম হয়েছে। এরপরে রয়েছে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (১১তম), স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (১২তম), নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (১৩ তম), ইউনিভার্সিটি অব ডেভলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (১৪তম), স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি (১৫তম), প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি (১৬তম), ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগরিকালচার এ্যান্ড টেকনোলজি (১৭তম), আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (১৮তম), সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি (১৯তম), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এ্যান্ড টেকনোলজির (২০তম) নাম। গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ফ্যাকচুয়াল ও পারসেপচুয়াল থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তের স্কোরের সমন্বয়ে চূড়ান্ত র‌্যাঙ্কিং করা হয়। যার মধ্যে ফ্যাকচুয়াল থেকে ৪০ শতাংশ ও পারসেপচুয়াল থেকে ৬০ শতাংশ স্কোর নিয়ে মোট ১০০ স্কোরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণ করা হয়েছে। ফ্যাকচুয়াল ডাটার ক্ষেত্রে নেয়া হয়েছে ইউজিসির ২০১৪ সালের তথ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মান, শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সেবা, গবেষণা ও শিক্ষা উপকরণকে ফ্যাকচুয়াল সূচক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে পারসেপচুয়ালের ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটির এ্যাকাডেমিকস (ডিন, বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, রেজিস্ট্রার) এবং চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের ওপর জরিপ চালানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, ফ্যাকচুয়াল র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি (পয়েন্ট ৮০.৬৩), তবে পারসেপচুয়ালে শীর্ষে রয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (পয়েন্ট ৬২.৮৪)। তবে দু’টির সমন্বয়ে নর্থ সাউথকে পেছনে ফেলে র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রথম হয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং প্রকল্পটি একটি উপদেষ্টা কমিটির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এতে ছিলেন- অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ওআরজি কোয়েস্টের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনজুরুল হক, বাংলা ট্রিবিউনের সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, প্রথম আলোর নিউজ এডিটর শরিফুজ্জামান পিন্টু, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিক্স এ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সিইও সাঈদ আহমেদ। তবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে নামী প্রতিষ্ঠান নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ)। তবে বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের ওই জরিপে প্রথম অবস্থানকারী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে তাদের কোন অভিযোগ নেই বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ওআরজি কোয়েস্ট রিসার্চ লিমিটেড নামে জরিপ প্রতিষ্ঠানটি যে র‌্যাঙ্কিং দিয়েছে তা যথাযথভাবে তৈরি করা হয়নি। সেখানে কিছু জায়গায় বৈষম্য হয়েছে। তবে বাংলাদেশে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রক্রিয়াকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের সঙ্গে ব্র্যাকের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা রয়েছে। এ জরিপে তাদের বা আমাদের কোন হাত নেই। তবে যেভাবে র‌্যাঙ্কিং দেয়া হয়েছে, তা মেনে নেয়া যায় না। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের গবেষণার কথা বলে যে তথ্য দেয়া হয়েছে তা যথার্থ নয়। কিভাবে, কোথা থেকে তারা এসব ভুল তথ্য ব্যবহার করেছে জানি না। প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বেনজির আহমেদ বলছিলেন, দেখেন দেশের প্রতিষ্ঠান নিয়ে র‌্যাঙ্কিং করা অনেক বড় একটি বিষয়। অভিজ্ঞতা, দক্ষ জনবল নানা বিষয় এখানে জড়িত। সরকার যেখানে পাবলিক পরীক্ষায় সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করাই বন্ধ করে দিয়েছে অসৎ প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কারণে। সেখানে এভাবে বেসরকারীভাবে হুট করে এত বড় কাজ সঠিকভাবে না হলে শিক্ষা তথা দেশের জন্যই তা সঙ্কটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। র‌্যাঙ্কিং নিয়ে ঘোরতর আপত্তি তুলেছেন আরেক নামী প্রতিষ্ঠান ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মাশফিকুর রহমান বলছিলেন, যে র‌্যাঙ্কিং করেছে তা টোটালি একটি ফেক জিনিস হয়েছে। টোটালি ভুল। আমরা ওটা রিজেক্ট করে দিয়েছি। র‌্যাঙ্কিংয়ে যেসব বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয় তার কিছুৃই এখানে আনা হয়নি। স্থায়ী ক্যাম্পাস, সমাবর্তন, ইবুক এমনসব গুরুত্বপূর্ণ এলিমেন্ট বাদ দিয়ে এই কাজ হয় না। এটা একদম ভুলে ভরা একটি কাজ হয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ দিতে যাচ্ছি শীঘ্রই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেখেন যেসব প্রতিষ্ঠান সরকারের যোগ্যতাই পূরণ করতে পারেনি। যাদের আগামী ডিসেম্বরের পর ভর্তিই বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে সরকার, সেসব প্রতিষ্ঠানকেও নিয়ে আসা হয়েছে সামনে। একটি প্রশ্নবিদ্ধ কাজ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) র‌্যাঙ্কিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম বলেছেন, গবেষণায় পারসেপচুয়াল র‌্যাঙ্কিংয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান দশম স্থানে (মোট স্কোর ৬১.৮৮) এবং ফ্যাকচুয়াল র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০তম স্থানে (মোট স্কোর ৫১.০৬) দেখানো হয়েছে আর দুটির সমন্বয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান দশম স্থানে দেখানো হয়েছে, যা বাস্তবতাবিবর্জিত। বাংলাদেশে এ ধরনের গবেষণা অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা হতে হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানের। তবে এ গবেষণায় অনেক কিছুই আসেনি। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ের অনেক প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছে গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান। কেন র‌্যাঙ্কিং? এর উত্তরে বলা হয়েছে, ইউনিভার্সিটিগুলোকে তাদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানতে সহায়তা করা। যেন তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে নিজেদের রেটিং বাড়াতে পারে, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের সহায়তা করবে। উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নেও এটি অবদান রাখবে, যা পুরো দেশের জন্য মঙ্গলজনক। কিসের ভিত্তিতে এই র‌্যাঙ্কিং? বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সংখ্যা, গবেষণা, ক্যাম্পাস, শিক্ষা কার্যক্রম, লাইব্রেরির অবস্থা, পাস করা শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক ও চাকরিদাতাদের ভাবনার ভিত্তিতে এই র‌্যাঙ্কিং হয়েছে। পারসেপচুয়াল ও ফ্যাকচুয়াল ৬০:৪০ কেন হলো? বলা হয়, এটা ৫০-৫০ করা যেত। কিন্তু ফ্যাকচুয়াল বিভাগে ইউজিসি থেকে সর্বশেষ যে তথ্য পাওয়া যায় তা ২০১৪ সালের। ফ্যাকচুয়াল তথ্যের রিলায়েবিলিটিও কিছুটা কম। সেজন্য সেখানে স্কোর কম দেয়া হয়েছে। তবে যে পক্ষই যাই বলুক না কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই র‌্যাঙ্কিংয়ের কোন গুরুত্ব সরকারের কাছে নেই। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) আবদুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী বলছিলেন, যদি মন্ত্রণালয় কিংবা যদি ইউজিসি কোন কাজ করত তাহলে এটা নিয়ে ভাবা যেত। এখন এর কোন গুরুত্ব আমাদের কাছে নেই। এটা নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না।
×