ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগাম নির্বাচন সরকারের ব্যাপার: সিইসি

প্রকাশিত: ০৩:১৮, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

আগাম নির্বাচন সরকারের ব্যাপার: সিইসি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নয়, সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। কয়েকটি মহলে আগাম নির্বাচনের আলোচনার প্রেক্ষাপটে বুধবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে একথা বলেন নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাংবিধানিক সংস্থাটির প্রধান। আগাম নির্বাচনের জন্য ইসি প্রস্তুত কি না- এই প্রশ্নে সিইসি বলেন, আগাম নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ভোট করার জন্য আমাদের হাতে ৯০ দিন সময় থাকে। সরকার আগাম নির্বাচনের কথা বললে আমরাও তা পারব। আগামী বছরের শেষ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। ওই সময় ধরে রোডম্যাপও ঘোষণা করেছে বর্তমান ইসি। বিএনপি নেতাদের অনেকে আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও বিভিন্ন সময়ে আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি রাখতে তার দলের নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলে আসছেন, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে। সংলাপে বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে সংসদ ভেঙে নির্বাচন দেওয়ার দাবি ওঠার পর তাও সংসদ ও সরকারের এখতিয়ার বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন সিইসি নূরুল হুদা। তিনি বলেছিলেন, সংবিধান ও আইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিক বিষয় আমাদের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এখতিয়ার বহির্ভূত বিষয়ে সরকারকে চাপ সৃষ্টি করার কোনো সুযোগও ইসির নেই। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে টিরিংকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার পর সিইসির সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের। ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এই বৈঠকের পর নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, “ইইউর পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমাদের উপর। আমরাও আশ্বস্ত করেছি, ভোটের সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরাও বদ্ধপরিকর।” ইইউ প্রতিনিধি দল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের বিষয়টিও তোলেন আলোচনায়। “একাদশ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে না বলে তাদের জানানো হয়েছে,” বলেন সিইসি। প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে তিনি বলেন, “পোস্টাল ব্যালটে খুব একটা সাড়া পাওয়া যায় না। তাই আমি বলেছি,, তিনশ’ আসনের নির্বাচনের জন্য আমাদের লোকজনের বিদেশে বাক্স নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তবে পোস্টাল ব্যালটের নিয়মটি এখনও রয়েছে। যদি ইভিএম চালু হয়, তখন হয়তে এটা করা হবে।”
×