ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতপুরে ইটভাটা মালিকের দন্ড

প্রকাশিত: ০১:১৪, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

দৌলতপুরে ইটভাটা মালিকের দন্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ইটভাটা মালিকের অর্থদন্ড করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় গ্রামে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ড্রাম চিমনির ইটভাটায় এ অভিযান চালানো হয়। ভ্র্যাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, অনুমোদন বিহীন অবৈধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে কোলদিয়াড় গ্রামের মজিবর রহমান জান্নাতী ব্রিকস্ নাম ব্যবহার ইট প্রস্তুত করে তা পোড়াচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত ওই ভাটায় অভিযান চালায়। এসময় ইটভাটা মালিক মজিবুর রহমানকে আটক করে ও অবৈধ ড্রাম চিমনি ও ভাটার ইট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ এর ৪ ধারায় ইটভাটা মালিক মজিবর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। অনাদায়ে একমাসের কারাদন্ড দেন। ইটভাটা মালিক মজিবর রহমান জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে অবৈধ ভাটায় ফিরে গিয়ে আবারও ড্রাম চিমনির ইটভাটা চালু করেন। ইটভাটায় অভিযান চলাকালে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কোমল কুমার বর্মন উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকা, জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকা, অবৈধ ড্রাম চিনমি ব্যবহার করে জ্বালানী কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর দায়ে মজিবর রহমান নামে ইট ভাটা মালিকের অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য দৌলতপুর ড্রামচিমনির ইটভাটার পাশাপাশি ব্যাঙের ছাতার মত যত্রতত্র বাড়ির আঙিনা ও ফসলের মাঠে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে স্থায়ী চিমনির ইটভাটা। আর এসব ইটভাটায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মন জ্বালানী হিসেবে বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ গাছ কেটে উজাড় করে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ঘটছে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয়। এলাকার ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষের দাবি শুধুমাত্র লোক দেখানো ড্রাম চিমনির ভাটায় অভিযান না করে দৌলতপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ২৪ টি স্থায়ী চিমনির ভাটায়ও অভিযান করা হোক।
×