ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অসময়ে পদ্মায় ভাঙ্গন ॥ হুমকিতে তীর রক্ষা বাঁধ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

অসময়ে পদ্মায় ভাঙ্গন ॥ হুমকিতে তীর রক্ষা বাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চারঘাট উপজেলার টাঙ্গন এলাকায় পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে অসময়ে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ক্রমেই দেবে যাচ্ছে বাঁধের ব্লক। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নদীর তীরবর্তী আবাসিক বাড়িঘর-স্থাপনা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এদিকে বাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সোমবার সকালে এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রতিরোধের আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৮ সালে পদ্মায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। ওই সময় উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন এলাকার পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়ে। ২০০১ সালে তৎকালীন সরকার পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধটি ব্লক দিয়ে বাঁধাই করে দেয়। এরপর থেকে ভালই ছিল বাঁধটি। তবে অসময়ে হঠাৎ করেই গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও শুরু হয়েছে টাঙ্গনের নিচে পদ্মা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন। ব্লক এলোমেলো হয়ে দেবে যাচ্ছে। সরজমিনে দেখা যায়, বাঁধের বিশাল অংশের ব্লক দেবে গেছে। বড় ফাটলও দৃশ্যমান। দীর্ঘদিন সংস্কার না থাকায় বেশিরভাগ ব্লক নড়বড়ে হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, গেল বর্ষায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধির পর স্রোতে ব্লকগুলো নড়ে যায়। তাই অসময়ে দেখা দিয়ে ভাঙ্গন। এলাকাবাসীর দাবি, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেলেই টাঙ্গন এলাকায় প্রতিবছরই দেখা দেয় ভাঙ্গন। আর এই ভাঙ্গনের শিকার হয়ে আবাদি জমিসহ ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই হয় নিঃস্ব। এখনই বাঁধ সংস্কার না হলে আগামী বর্ষায় চরম হুমকির মুখে পড়বেন এলাকাবাসী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তিনি এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী মকলেছুর রহমান জানান, পানি প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধের ব্লকের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় অসমে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় স্ত্রীসহ চারজন রিমান্ডে স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পী খুনের ঘটনার জট খুলতে শুরু করেছে। বিয়ের স্বীকৃতি আদায় করতে না পেরে তার ডিভোর্সি স্ত্রী রাশেদা বেগমের পরিকল্পনাতেই এ হত্যাকা- সংঘটিত হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। মঙ্গলবার স্ত্রী রাশেদাসহ চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এদিন আসামিদের আদালতে উপস্থিত করা হলে ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা চড়াও হন তাদের ওপর। পুলিশ জানায়, রাশেদা বেগম ছাড়া বাকি ৩ আসামি হলেন হুমায়ুন রশিদ, পারভেজ ওরফে আলী এবং জাকির হোসেন ওরফে মোল্লা জাকির। এ ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে মোট ৬ জনকে। এর মধ্যে আল আমিন এবং আকবর হোসেন ওরফে রুবেল নামের বাকি দুজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিতে রাজি হওয়ায় তাদের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেনি পুলিশ। উল্লেখ্য, ২৫ নবেম্বর নগরীর চকবাজার থানার কেবি আমান আলী সড়কে বড়মিয়া মসজিদের সামনের একটি বাসার নিচতলা থেকে আইনজীবী বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার হাত-পা বাঁধা এবং মুখ টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল, লিঙ্গ ছিল কর্তিত অবস্থায়।
×