ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ ভারত সরকার হঠাৎ করে পেঁয়াজের আমদানি মূল্য দ্বিগুণেরও বেশি করায় অঘোষিতভাবে পেঁয়াজ কমিয়ে দিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। ২৩ ও ২৪ নবেম্বর এই বন্দরে কোন পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করেনি। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে। সরবরাহ কমে গেছে দাবি করে খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজিতে দাম বাড়িয়েছে ২০ টাকা। বর্তমানে সীমান্তের বাজারেই প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। দু’দিন আগেও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। আমদানিকারক বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম নীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে পেঁয়াজের আমদানি মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ন্যাফড। গত অক্টোবর মাসে যেখানে পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ছিল প্রতি মেট্রিক টন ৪০০ মার্কিন ডলার সেখানে বর্তমান রফতানি মূল্য করা হয়েছে ৮৫০ মার্কিন ডলার। এর ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মেহন্ত কুমার সরকার জানান, ২০ নবেম্বর ৬৪, ২১ নবেম্বর ৪০, ২২ নবেম্বর ৪৮, ২৫ নবেম্বর ৪৮, ২৬ নবেম্বর ৩২ এবং ২৮ নবেম্বর ৫৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। আবেদা খাতুন ও জাকির হোসেন নামে দু’জন ক্রেতা জানান, নুন আনতে যেখানে পান্তা ফুরাচ্ছে সেখানে পেঁয়াজ কিনে খাওয়ার পরিস্থিতি নেই। দু’দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজে ২০ টাকা বেড়ে ৮০-৮৫ টাকা হয়েছে। জানতে চাইলে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদ বলেন, এক সপ্তাহ আগেও বেনাপোলের সবজির বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা। গত তিন দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে গেছে কেজিতে ২০ টাকা। আমদানি বন্ধসহ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, অনেক অসাধু পেঁয়াজ আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ী পেঁয়াজ গুদামজাত করেছে। যে কারণে আমদানি বন্ধের মাত্র ২-৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। এদিকে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন তিনি।
×