ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টি ইসলাম তারিক

ডাক্তার নয়, খেলোয়াড় হয়ে গর্বিত নওশের

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

ডাক্তার নয়, খেলোয়াড় হয়ে গর্বিত নওশের

খর্বাকৃতির ছিলেন বলে স্কুলের মূল দলে জায়গা দিতেন না স্কুল শিক্ষকরা। তাই বলে থেমে থাকেননি। ফুটবল প্র্যাকটিস করে গেছেন নিরলসভাবে। কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমেই ফুটবলের এক বিশেষ জায়গায় পৌঁছতে পেরেছিলেন। পরবর্তীতে জায়গা করে নিয়েছিলেন দেশের শীর্ষ স্থানীয় দল ঢাকা মোহামেডানে তথা বাংলাদেশ জাতীয় দলে। মাঠ কাঁপিয়েছিলেন দেশে এবং দেশের বাইরে। ভারতের বোম্বেতে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বোম্বের নবাব মনসুর আলী পাতৌদি এবং তার স্ত্রী অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। ওই ম্যাচে তিনি কর্নার থেকে সরাসরি রেইনবো কিকে গোল করে উপস্থিত দর্শকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। যে স্মৃতির কথা মনে হলে আবেগে আপ্লুত হয়ে যান। অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে যার চোখ, তিনি বাংলাদেশ ফুটবলের এক সময়ের উজ্জ্বল নক্ষত্র এ কে এম নওশেরুজ্জামান। দর্শকদের কাছে নওশের নামেই যার পরিচয়। নওশের ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলেছেন সমানতালে। অনেক খ্যাতি পেয়েছেন জীবনে। তার জীবনে খ্যাতির বীজ বোনা মানুষটি হলেন- ছোট বেলার সেই স্কুল শিক্ষক সুধীর বাবু। ব্ল্যাক বোর্ডে লিখা ইংরেজি চরণগুলোই যে তাকে এই খ্যাতি পেতে সাহায্য করেছে তা তিনি স্বীকার করেন অবলীলায় । ক্লাস শেষে সুধীর বাবু ডাস্টার দিয়ে সেগুলো মুছে দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু সে সময়ই শিশু নওশেরের মনের মধ্যে তা যে গেঁথে গিয়েছিল যা আজও মেনে চলেন অক্ষরে অক্ষরে। তিনি মনে করেন, যে কোন সাফল্যের পেছনে সে কথাগুলো মেনে চলা অত্যন্ত জরুরী। হোক সেটা খেলোয়াড় তৈরিতে কিংবা একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে এ ধরণীতে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য। খুব মজা করে কথা বলেন নওশের। নওশেরের মগবাজারের বাসায় আমার সঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দল এবং ঢাকা মোহামেডানের সাবেক লেফট ব্যাক স্বপন দাস ও ফুটবলের পাঁড় সমর্থক রাসেল ওমর। দ্বিতীয় তলায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতেই তিনি আমাদের অভ্যর্থনা জানান। গার্ড কে জোরে ডেকে আদেশের সুরে কড়া ভাষায় বলেন, ‘গরম গরম সমুচা নিয়ে আস।’ বলেই হাসি দিলেন । পরে আবারও হাসি দিয়ে জানালেন গতকালই এই বিল্ডিং এর মালিক সমিতির সভাপতি হয়েছি তাই একটু পাওয়ার দেখানোর প্র্যাকটিস করছি! পৈত্রিক ভিটা কুমিল্লার বদরপুরে হলেও জন্ম তার মুন্সীগঞ্জে। সেখান থেকেই ফুটবলের হাতে খড়ি। পাঁচ ভাইয়ের সবাই ঢাকার প্রথম বিভাগে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বিশেষ করে নওসের, শরিফ আর আরিফ ফুটবলে একটা আলাদা স্থান করে নিয়েছিলেন। মজার বিষয় হচ্ছে ১৯৭৬ সালে তিন ভাই একই সঙ্গে ঢাকা মোহামেডানের খেলোয়াড় ছিলেন যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ঢাকার ফুটবলের অন্তর্ভুক্তিটা কিভাবে হয় জানতে চাইলে নওশের বলেন, ‘ঢাকার ফুটবলে আমার আগমন অনেকটাই বাংলা সিনেমার কাহিনীর মতো। জীবনের শখ ছিল ডাক্তার হব। তাই ইন্টার পরীক্ষার পর সিলেট মেডিক্যালে পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ না পাওয়ায় ঢাকায় সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে বড় বোনের বাসায় ফিরে আসি। মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার রুট ছিল গুলিস্তান থেকে বাসে নারায়ণগঞ্জ, সেখান থেকে লঞ্চে মুন্সীগঞ্জ। সেদিনও গুলিস্তানে এসে বাসের জন্য অপেক্ষা। চোখ যায় আউটার স্টেডিয়ামের দিকে। আজাদ বয়েজের খেলা হচ্ছে বিধায় অনেক ভিড়। ভিড়ের মধ্যেই আজাদ বয়েজের এক কর্মকর্তা মুশতাক ভাই তিনি দেখেন আমাকে। এর আগে মুশতাক ভাই আমার খেলা দেখেছিলেন মুন্সীগঞ্জে। তিনি আমাকে জানালেন যে পূর্ব পাকিস্তান জুনিয়র দলের জন্য ট্রায়াল হবে। আমি ট্রায়াল দিব কিনা, আমি রাজি হয়ে যাই। পরে তিনি আমাকে আজাদ ক্লাবে নিয়ে যান এবং আমাকে কালো রঙের একটা জার্সি দেন সঙ্গে বুট। আমার এখনও মনে আছে বুটের সাইজ আমার পায়ের চাইতে একটু বড় ছিল আর যে জার্সিটা দিয়েছিলেন তার নম্বর ছিল দশ। কোচ সাহেব আলী ভাইয়ের অধীনে প্র্যাকটিস হয়। তিনি আমাকে খুবই পছন্দ করেন। ট্রায়াল শেষে মূল দলে জায়গা পাওয়ায় আমাকে প্রায় দুই মাস অনুশীলন করতে হয় ঢাকাতে। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল যে মুস্তাক ভাইয়ের জন্য আজ এই নওশেরকে ফুটবল সমর্থকরা চিনেন সেই মুস্তাক ভাই স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৭১ সালে শহীদ হন। নওশের ঢাকার মাঠে প্রথম রেলওয়েতে নাম লেখালেও মাঠে নামেন ওয়ারীর হয়ে। রেলওয়েতে কোন ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি। ওয়ারীর জামিল আখতারের কল্যাণে তিনি একই বছর রেলওয়ে থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে চলে আসেন ওয়ারীতে। প্র্যাকটিসে তৎকালীন কোচ গদা ভাই আর কর্মকর্তা হাসিম ভাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে পরের দিন ইস্টেন্ডের বিপক্ষে মাঠে নামেন। তার দল জয়লাভ করে ৩-১ গোলে যার দুটিই করেন লেফট উইং নওশের। এরপর পর আর থেমে থাকতে হয়নি। নওশের ছিলেন মূলত লেফট উইং এর খেলোয়াড়। এই লেফট উইং থেকে স্ট্রাইকার পজিশনে আনেন ওয়াপদার কোচ স্যান্ডি। যুদ্ধের পর তিন মৌসুম খেলেন ওয়াপদাতে । কোচ ছিলেন স্যান্ডি । এই স্যান্ডিই তাকে লেফট উইং থেকে স্ট্রাইকার পজিশনে খেলান এবং গোলও পান। তার পর থেকেই তিনি স্ট্রাইকার পজিশনে পাকাপোক্তভাবে নাম লিখান। প্রিয় দল মোহামেডান। মোহামেডানে আসার সে গল্পটা শোনতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওয়াপদাতে খেলাকালীন সময়েই মোহামেডানে খেলার অফার পাই। ১৯৭৪ সালে অনেকটা পাকা পোক্ত হয়ে যায় মোহামেডানে আসা কিন্তু এনায়েত আমাকে জানালো সে এবার ওয়াপদাতে যোগ দিচ্ছে। আমাকে থাকতে বলল। তাই সে বছর আর যাওয়া হয়নি। অবশেষে ১৯৭৫ সালে যোগ দেই আমার সপ্নের ক্লাব ঢাকা মোহামেডানে। মজার ব্যাপার হচ্ছে মোহামেডানে এসেই সেরা স্কোরার আর দল স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন। যা আজও মনে হলে শিউরে উঠি।’ কথা হয় সেরা ম্যাচ নিয়ে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েকটি আছে। যেমন ১৯৭৫ সালে আবাহনীর বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে জয়লাভ । যেখানে মূলত গোল হয়েছিল ৬টি । অফসাইডের অজুহাতে দুটি গোল নাকচ করে দেন রেফারি মুনির হোসেন । ৫ম গোলের বিষয়ে একটু দ্বিধা থাকলেও ষষ্ঠ গোলটি ছিল নিশ্চিত। আমি আবাহনীর ডিফেন্ডার বাটুকে কাটিয়ে গোল করি। অথচ মুনির হোসেন সেটিও নাকচ করে দেন হাহ হাহ হাহ। ওই ম্যাচে আমিসহ হাফিজ ভাই, শামসুল আলম মঞ্জু, গোলাম সারোয়ার টিপু আমার ভাই শরিফউজ্জামান সবাই খুব দারুণ খেলেছিলাম। আরেকটি খেলার কথা খুব মনে পড়ে সেটি ১৯৭৫ সালের ভিক্টোরিয়ার বিরুদ্ধে। সেদিন মোহামেডান ০-১ গোলে পিছিয়ে। খেলার শেষ মুহূর্ত চলছে। কাদায় ভরপুর মাঠ। পূর্ব প্রান্ত থেকে সম্ভবত রকিব থ্রো করে। ভিক্টোরিয়ার কারও মাথায় লেগে বলটা উড়ে আসে। সময়ও নেই। বলের ফ্লাইট মেজারমেন্ট বুঝে তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম একমাত্র উপায় ব্যাকভলি। আমার চিন্তাটা ঘটে মুহূর্তের মধ্যে। আমি শূন্যে দেহটা ভাসিয়ে দিয়ে উড়ন্ত বলে ব্যাকভলি করি। আমি শূন্য থেকে মাটিতে পড়তে পড়তে ভাবছি গোল হবে কিনা কে জানে। শরীর ঘুরিয়ে সেটা দেখার আগেই মোহামেডান গ্যালারি থেকে বিকট আওয়াজ বলে দিয়েছিল সেটা গোল। খেলা শেষে ভিক্টোরিয়ার গোলরক্ষক হালিম জানিয়েছিলেন এই বল কোন গোল রক্ষকের ফিরানোর ক্ষমতা ছিল না।’ নওশেরের স্মৃতিশক্তি চমৎকার। স্মৃতির কথাগুলো যখন বলেন মনে হচ্ছে চোখের সামনে সব ভাসছে। এ প্রসঙ্গে ছোটবেলার এক স্মৃতির কথা বলেন, ‘অনেক স্মৃতি মনে পড়ে। আমাদের স্কুলের ইংরেজী শিক্ষক সুধীর বাবুর কথা খুব মনে পড়ে । তিনি একদিন ক্লাসে ব্ল্যাক বোর্ডে লিখেছিলেন When Money Is Lost , Nothing Is Lost When Health Is Lost , Something Is Lost But When Cherecter Is Lost , Everything Is Lost . আমি সেই ইংরেজীর তিনটা লাইন আজও মনে রেখেছি। আমি নিজে যেমন সেটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি ঠিক তেমনি আমার ছেলে-মেয়েদের এই তিনটা লাইন আমি শিখিয়েছি তা মেনে চলার জন্য ।’ নওশেরুজ্জামানের গর্ব করার মতো অনেক কিছুই আছে। মোহামেডানে প্রথমবার এসেই সেরা স্কোরার এবং স্বাধীনতা পরবর্তী মোহামেডানের প্রথম শিরোপা, মোহামেডানের জার্সি গায়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দিলকুশার বিরুদ্ধে ৬-০ গলে জয়লাভ যার পাঁচটিই ছিল নওশেরের। স্বাধীনতার পর যেবার ক্রিকেটে মোহামেডান প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয় ১৯৭৮ সালে তিনি সে দলের সদস্য ছিলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম স্কোরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ব্লু পাওয়া ছাত্র, একজন ফুটবলার হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে তিনি গান শুনিয়েছিলেন। ফুটবল ক্রিকেট দুটোই খেলেছেন একসঙ্গে। পাঁচ ভাই একই সঙ্গে খেলেছেন প্রথম বিভাগ ঢাকা লিগে, তিন ভাই (নওশের-শরিফ-আরিফ ) খেলেছেন ১৯৭৬ সালে ঢাকা মোহামেডানে । ১৯৭০ সালে ভিক্টোরিয়ার হয়ে একমাত্র গোলে মোহামেডানের বিপক্ষে এবং ১৯৭৯ সালে ওয়য়ান্ডার্সের হয়ে এক মাত্র গোলে আবাহনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ। ফুটবলের সাবেক স্ট্রাইকারদের কথা বলতে গেলে অবলিলায় চলে আসে সালাহউদ্দিন, এনায়েত আর নওশেরের কথা। কে সেরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান সালাহউদ্দিন দীর্ঘদিন খেলেছেন আবাহনীতে। আবাহনী সব সময় ভাল দল গড়ত। আর ভাল দল হলে গোলের বল পাওয়া যায় এবং গোল করার সুযোগও থাকে বেশি, যেটা সালাহউদ্দিন পেয়েছে। তাছাড়া নিঃসন্দেহে সে ছিল খুবই স্টাইলিশ খেলোয়াড়। এনায়েতের শূটিং পাওয়ার ছিল দেখার মতো। স্ট্যামিনা, স্কিল সব মিলিয়ে তার ধারের কাছে কেউ ছিল না। আজ পর্যন্ত তার মতো খেলোয়াড় বাংলাদেশে আর আসেনি। আর আমি ১৯৭৫-৭৭ মোহামেডানে বাদে বরাবরেই ছোট দলে খেলেছি। ছোট দলে খেললে নাম ডাক করা খুব কঠিন তার পরেও তাদের চাইতে কোন দিক থেকে পিছিয়ে ছিলাম না। আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় এনায়েত। ক্রিকেটের কোন মজার স্মৃতি আছে কি না জানতে চাইলে নওশেল জানান, হ্যাঁ একটা মজার স্মৃতি আছে। সে সময় আমি আর গোলাম সারওয়ার টিপু খুব বাংলা ছবি দেখতাম। ১৯৭৫ সালে ক্রিকেটে মোহামেডানের হয়ে লীগ শুরু করি কিন্তু খেলার সুযোগ পাই না। সেদিন খেলা ছিল ওয়ান্ডার্সের সঙ্গে। অল্প রানেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। যেহেতু অল্প রান মোহামেডান জিতবে অনায়াসে। আমি আর টিপু মাঠ থেকে ক্লাবে আসি। গুলিস্তান হলে সিনেমা দেখতে যাব বলে তৈরি হয়েছি। এর মধ্যেই খবর পেলাম মোহামেডানের অবস্থা খারাপ। মোহামেডানের অল্প রানেই ছয় উইকেট নাই। প্রতাপ দা প্যাড পরিয়ে দেন। মাঠে ফিরে আসি। আমি সেদিন ক্রিকেটে মোহামেডানের হয়ে প্রথম নামার সুযোগ পাই এবং সেদিন মোহামেডান জয় লাভ করে। বাংলাদেশ ফুটবলের এই অধঃপতন থেকে রক্ষার উপায় হিসেবে নওশের জানান, আসলে ফুটবলটা হয়ে গেছে এখন ব্যবসার জায়গা। ক্লাব বা দেশের ফুটবলের কি হলো সে দিকে নজর নাই। কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় কর্মকর্তাদের চিন্তা আজকাল সেই দিকে। যে সমস্ত জায়গাতে লীগ হয় না সেখানকার কাউন্সিলরের ভোটাধিকার বাদ দেয়া উচিত। স্কুল ফুটবলের প্রতি নজর দেয়া জরুরী। আজকাল ছোট ছেলে মেয়েরা পড়ার চাপে দিশেহারা হয়ে গেছে। ২০১৬ সালে অনুর্ধ ১৬ দল সিলেটে খুব ভাল করেছে কিন্তু তাদের কে ধরে রাখা যায়নি। কিছুদিন আগে অনুর্ধ ১৯ দল ভাল করেছে। এদের কে নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করা অত্যন্ত জরুরী। আরেকটি বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে, আমাদের এই গরিব দেশে প্রফেশনাল লীগ একেবারেই বেমানান। প্রফেশনাল শুধুমাত্র নামেই আছে। প্রফেশনাল বলতে যেটা বুঝায় তার কিছুই হচ্ছে না। ফুটবলে কোন কষ্ট আছে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি উল্লেখ করেন স্বাধীনতার জন্য গঠিত ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’ স্বাধীনতা পুরস্কার এখনও পায়নি এইটা বড় কষ্টের। কোন দেশের স্বাধীনতার জন্য ফুটবল দল গঠনের নজির একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বে কোথাও নেই। নওশের ফুটবল থেকে অবসর নেন ১৯৮০ সালে। আর ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ১৯৯০ সালে। সংসারের ইনিংস শুরু করেন ২৮ অক্টোবর ১৯৭৯ সালে জাফরিন জামানের সঙ্গে। এক মেয়ে আর এক ছেলে নিয়ে তার সুখের সংসার।
×