ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আনিসুজ্জামানকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৯ নভেম্বর ২০১৭

আনিসুজ্জামানকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রগতির পথিক ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। উদারনৈতিক ও মুক্ত চিন্তার সমাজ বিনির্মাণে নিরবচ্ছিন্ন তার পথচলা। বরেণ্য এই শিক্ষাবিদ ও লেখকের কর্ম ও জীবননির্ভর ‘বাতিঘর’ নামের তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন মাসুদ করিম। সেই তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবার। সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রদর্শনীটির আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (আইজিসিসি)। প্রদর্শনীর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, ভারতীয় হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রামাণ্যচিত্রের পরিচালক মাসুদ করিম ও ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক জয়শ্রী কু-ু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনিসুজ্জামানের স্ত্রী সিদ্দিকা জামান। পরে ভারতীয় কমিশনের পক্ষ থেকে আনিসুজ্জামানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের আশিতম জন্মদিনে ঢাকায় প্রামাণ্যচিত্রটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়। তবে সে সময় অসুস্থতার কারণে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের অনুপস্থিতিতে প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাই মঙ্গলবার আনিসুজ্জামানের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীটি হয় মাধুর্যময়। ড. গওহর রিজভী বলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ইতিহাসের প্রতিটি ক্রান্তিকালে সত্য ও সঠিক পথটি বেছে নিয়েছেন। জীবন চলার পথে কখনোই তাকে ভুলপথ নির্বাচন করতে দেখা যায়নি। তিনি সবসময় মূল্যবোধ ও সততাকে অবলম্বন করে পথ চলেছেন। যা তাকে দেশের সামনে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছেন। আদর্শ সোয়াইকা বলেন, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের এমন এক চরিত্র, যাকে নিয়ে আমরা ভারতীয়রাও গর্ব করি। বাংলা, বাঙালীর ইতিহাসকে তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন আজও। তার লেখনী, তার ভাবনা আমাদের প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে। মাসুদ করিম বলেন, আমাদের রয়েছেন একজন আনিসুজ্জামান। আমাদের আশ্রয়, আমাদের বাতিঘর। তার পথ ধরেই আমরা সামনে এগিয়ে চলেছি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই তথ্যচিত্রটি তোলা থাকল। তারা আনিসুজ্জামানের জীবন ও কর্মকে অবলম্বন করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেÑএটাই প্রত্যাশা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশ বিভাগ এবং দেশান্তরী হওয়া, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি পুনর্গঠনের ব্যাপারে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের অসামান্য স্মৃতি জাগানিয়া না বলা কথাও উঠে এসেছে এই তথ্যচিত্রে। পৌনে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রে উঠে এসেছে বরেণ্য এই ব্যক্তিত্বের নানান প্রতিকূলতার স্মৃতি। তথ্যচিত্রটির চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে কলকাতা, খুলনা শহরের বিভিন্নস্থানে এবং লন্ডনে। পারিবারিক সদস্য ছাড়াও দুই বাংলার স্বনামধন্য ব্যক্তিরা নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করেছেন অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, সঙ্গীত শিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, কবি নাসির আহমেদ এবং পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক পবিত্র সরকার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সুরঞ্জন দাশ। তিন দিনের নন-ফিকশন বইমেলা ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার থেশে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলা। বণিক বার্তা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ যৌথভাবে তৃতীয়বারের মতো বইমেলাটির আয়োজন করছে। এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে ২৩টি প্রকাশনা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার পর্যন্ত চলমান এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। বইমেলার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোঃ আবদুস সালাম, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোস্তফা খায়ের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রমুখ। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বাংলা একাডেমি, অনন্যা, অনুপম প্রকাশনী, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, অ্যাডর্ন পাবলিকেশন, আগামী প্রকাশনী, একাডেমিক প্রেস এ্যান্ড পাবলিশার্স লাইব্রেরি, ঐতিহ্য, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, দিব্য প্রকাশ, নালন্দা প্রকাশনী, প্রথমা প্রকাশন, কাকলী প্রকাশনী, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম), বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, উৎস প্রকাশনী, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলা ব্রাদার্স, সময় প্রকাশন, সংহতি প্রকাশন, সাহিত্য প্রকাশ, মার্কেট পালস্ ও ডেইলি স্টার বুকস।
×