ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতা পুলিশের তথ্যে অভিজিত হত্যায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

কলকাতা পুলিশের তথ্যে অভিজিত হত্যায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে

শংকর কুমার দে ॥ বাংলাদেশের ব্লগার খুনের সঙ্গে জড়িত জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) তৎপরতা সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করেছে কলকাতা-ঢাকার পুলিশ ও গোয়েন্দারা। দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যে তথ্য বিনিময় হয়েছে তাতে জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের মধ্যে দুই ধরনের জঙ্গীর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। হত্যাকা-ের টার্গেট অনুসরণকারীকে বলা হয় ‘ইন্টেল গ্রুপ’ এবং যেসব জঙ্গী হত্যাকা-ে অংশ নেবে তাদের বলা হয় ‘আশকারি’ সদস্য। জঙ্গী সংগঠন এবিটির দুই গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে অপর গ্রুপ যারা ‘শূরা সদস্য’। বর্তমানে জঙ্গী সংগঠনটির সামরিক কমা-ের নেতৃত্বে আছে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে ব্লগার খুনের ঘটনা ঘটেছে। ব্লগার অভিজিত রায় হত্যাকা-ে সরাসরি অংশ নেয়া এবিটির জঙ্গী পুরস্কার ঘোষিত আরাফাতকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পেয়েছে ঢাকার পুলিশ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের (সিটিটিসি) ও র‌্যাব সূত্রে এ খবর জানা গেছে। ঢাকার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কলকাতার পুলিশকে (এসটিএফ) জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সম্পর্কে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেই সম্পর্কে তথ্য দিয়ে জঙ্গী তৎপরতার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশ (এসটিএফ) গত ২১ নবেম্বর শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সামশাদ মিয়া ওরফে তানবির ও রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুমন নামে দুই বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাংলাদেশের দুর্ধর্ষ জঙ্গী তামিম ওরফে মুন ওরফে স্বপন ও নয়ন গাজী ওরফে সাইফুল গাজী ও মাহির নাম পায়। কলকাতা পুলিশের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে এসব জঙ্গী বাংলাদেশের ব্লগার খুনের সঙ্গে জড়িত এবং তারা জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্ল্হা বাংলা টিমের সদস্য। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগদানের আগে তারা জঙ্গী সংগঠন জেএমবি বা নব্য জেএমবিতেও সক্রিয় ছিল। ঢাকার গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কলকাতার স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গত ২১ নবেম্বর শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সামশাদ মিয়া ওরফে তানবির ও রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুমন নামে দুই বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) যেসব সদস্য গ্রেফতার হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত বিবরণ পেয়েছে গোয়েন্দারা। মেজর জিয়ার নির্দেশে যারা অভিজিত হত্যায় জড়িত ছিল তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
×