ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ ছাড়লেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর

বিডিনিউজ ॥ ঋণ কেলেঙ্কারি ও অব্যবস্থাপনা নিয়ে চাপের মুখে ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছেন সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। বেসরকারী এই ব্যাংকটির এমডিকে অপসারণের নোটিস দেয়ার পর সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের খবর জানানো হয়। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পাশাপাশি অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতিও পদত্যাগ করেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের পদত্যাগপত্র পরিচালনা পর্ষদ গ্রহণ করেছে। নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ। একইসঙ্গে ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটি, অডিট কমিটি ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি পুনর্গঠনের কথাও জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকটিতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপদেষ্টা, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার দত্ত সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের তালিকা জমা দিলে তা অনুমোদন দেয়া হয়। পুনর্গঠিত পর্ষদ ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নয়নে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ব্যাংকটির ওপর ‘নজরদারি অব্যাহত’ থাকছে। বেশ কিছু আমানতকারীর ব্যাংকটি থেকে অর্থ তুলে নেয়ার চেষ্টায় সঙ্কট আরও ঘনীভূত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমানতকারীদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পদত্যাগের বিষয়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে রাতে কল করা হলেও তা অন্য একজন ধরে ‘রং নম্বর’ বলে লাইন কেটে দেন। চাঁদপুরের সংসদ সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর বর্তমান সংসদে সরকারী হিসাব কমিটির সভাপতি। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ফারমার্স ব্যাংকটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ২০১৩ সালে অনুমোদন পেয়েছিল। তখন মোট আটটি ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল, যা রাজনৈতিক বিবেচনায় বলে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও স্বীকার করেন। দেশের ‘চাহিদার চেয়ে বেশি’ ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়ায় এ নিয়ে সরকারকে সমালোচনায় পড়তে হয়েছিল। যাত্রা শুরুর তিন বছর না যেতেই ফারমার্স ব্যাংকে শত শত কোটি টাকার অনিয়ম ধরা পড়লে সেই সমালোচনা আরও জোরালো হয়ে ওঠে।
×