ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মন্ত্রিসভায় ১২ ডিসেম্বর ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া মন্ত্রিসভা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা এলাকার আওতা বাড়িয়ে ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, একই সঙ্গে উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, দেশ এখন আইসিটির ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর। দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেক বেশি। সারা বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে ৭/৮ নম্বরের মধ্যে আমরা থাকব, এ রকম অবস্থা। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে কনসেপ্ট এটাকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করেছি ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজ করছি। এটাকে অনেকটা স্মরণীয় করার জন্য ১২ ডিসেম্বরকে তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস বা ন্যাশনাল আইসিটি ডে হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব এসেছে। একই সঙ্গে ‘খ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব এসেছে। মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি দিবস পালনের জন্য ১২ ডিসেম্বরকে কেন বেছে নেয়া হলো জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্টটা নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। এজন্য ওই তারিখটাকে উপযুক্ত তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো ‘ক’ ক্যাটাগরির জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাকি সবই ‘খ’ ক্যাটাগরির। আর্থিক ক্যাপাসিটির কারণে এটা হয়। ‘খ’ ক্যাটাগরির দিবসের জন্য ৫০ হাজার টাকার একটা বরাদ্দ দেয়া হয়। অপরদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেন। জনগণ সে ঘোষণায় আস্থা রেখে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে জনসেবা করার সুযোগ করে দেয়। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার গঠনের পর আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। দেশের মানুষ এই রূপকল্পের সুফল ভোগ করছে। ফলে মন্ত্রিসভা কর্তৃক আজকের এই অনুমোদনের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে আরও একধাপ অগ্রগতি হলো। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতা বাড়ল বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা এলাকার আওতা বাড়িয়ে ‘বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৭’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, এতদিন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে চলছে। এটার কোন আইন ছিল না। আমাদের দেশে কর্তৃপক্ষ আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সেই বিবেচনায় এই আইনের খসড়া উপস্থাপন করা হয়। তিনি বলেন, খসড়ায় কিছু সংজ্ঞা রয়েছে যেটা রেজুলেশনে নেই। কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার সাধারণ যে নিয়মনীতি তা রয়েছে খসড়ায়। নতুন আইন অনুযায়ী বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীন এলাকা হবে সরকার যেটুকু ঘোষণা করবে সেটুকু জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, খসড়ায় বলা হয়েছে বরেন্দ্র এলাকা বলতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলাকে বোঝাবে। অর্থাৎ বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগ নিয়ে এই বরেন্দ্র এলাকা গঠিত হবে। আগে এটা ছোট পরিসরে ছিল। এখন দেখা গেছে কাজকর্ম অনেক ব্যাপক হয়েছে, এজন্য এরিয়াটা বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবিত আইনে কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব আগের মতোই রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি উপদেষ্টা পর্ষদের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটা আছে, তাই একে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী এই পর্ষদের সভাপতি। আরেকটা ছোট পরিসরে থাকবে পরিচালনা পর্ষদ। কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হবেন এই পর্ষদের চেয়ারম্যান। উপদেষ্টা পরিষদ নীতিনির্ধারণ করবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া আইন অনুযায়ী এই পরিষদ প্রতিবছরে কমপক্ষে একটি সভায় বসবে। আর পরিচালনা পর্ষদ প্রতি ৩ মাসে কমপক্ষে একটি সভায় বসবে।
×