ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ ১২ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ২৭ নভেম্বর ২০১৭

 ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ ১২ ডিসেম্বর

অনলাইন রিপোর্টার ॥ প্রতিবছর ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ হিসেবে ১২ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। একই সঙ্গে উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দেশ এখন আইসিটির ক্ষেত্রে অনেক অগ্রসর। দেশে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেক বেশি। সারা বিশ্বের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে ৭/৮ নম্বরের মধ্যে আমরা থাকব, এরকম অবস্থা। ডিজিটাল বাংলাদেশের যে কনসেপ্ট এটাকে আমরা রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করেছি ও রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজ করছি।’ ‘এটাকে অনেকটা স্মরণীয় করার জন্য ১২ ডিসেম্বরকে তথ্য ও প্রযুক্তি দিবস বা ন্যাশনাল আইসিটি ডে হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব এসেছে। একই সঙ্গে খ-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব এসেছে। মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।’ তথ্যপ্রযুক্তি দিবস পালনের জন্য ১২ ডিসেম্বরকে কেন বেছে নেয়া হল- জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, ‘২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের সময় বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্টটা নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। এজন্য ওই তারিখটাকে উপযুক্ত তারিখ হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।’ খুব গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলো ক-ক্যাটাগরির জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাকিসবগুলোই খ-ক্যাটাগরির। আর্থিক ক্যাপাসিটির কারণে এটা হয়। খ-ক্যাটাগরির দিবসের জন্য ৫০ হাজার টাকার একটা বরাদ্দ দেয়া হয়।’ অপরদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’ ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেন। জনগণ সে ঘোষণায় আস্থা রেখে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে জনসেবা করার সুযোগ করে দেয়।’ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার গঠনের পর আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। দেশের মানুষ এই রূপকল্পের সুফল ভোগ করছে। ফলে মন্ত্রিসভা কর্তৃক আজকের এই অনুমোদনের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম চূড়ান্ত লক্ষ্যের দিকে আরও একধাপ অগ্রগতি হলো।’
×