ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জাফর ওয়াজেদ

সরকার বিদায়ে এবার হাতিয়ার

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৭ নভেম্বর ২০১৭

সরকার বিদায়ে এবার হাতিয়ার

অক্ষমের আর্তনাদ যেন বেজে উঠছে বিএনপি নেতা-নেত্রীদের কণ্ঠস্বর থেকে। নির্গত হচ্ছে অস্ত্রের ভাষা। গণতন্ত্রকে যারা মার্শালতন্ত্র দিয়ে পদদলিত করে, ক্ষমতার মসনদে আসীন হয়ে সেনা ছাউনিতে গড়ে উঠেছে, সেই বিএনপি নামক দলটির সামনে এখন বন্ধুর পথ। এ পথ পাড়ি দেয়ার মতো শক্তিমত্তাটুকুও লুপ্তপ্রায়। অতীত যাদের কালিমালিপ্ত, হাতে যাদের রক্ত, দেহাবয়বে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার বিকট গন্ধ, তাদের কাছে গণতন্ত্র তুচ্ছ, অতিতুচ্ছ। ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়ার জন্য যে কোন পথ ও পন্থা বেছে নিতে তারা কসুর করেনি, করছেও না। স্বাভাবিক রাজনীতির পথে তারা হাঁটতে পছন্দ করে না। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে চলায় নেই ন্যূনতম আগ্রহ। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের হাতে তুলে নিতেও পিছ পা হয় না যে বিএনপি, তারা অস্ত্রের ভাষাকেই গুরুত্ব দেয়। কারণ ওই ভাষা তাদের রক্তমজ্জায় মিশে আছে। জন্মকাল থেকেই এই ভাষাটাই রপ্ত করেছে। তাই গ্রেনেড হামলা চালিয়ে প্রতিপক্ষকে নির্মমভাবে হত্যা করার জন্য সরকারী ক্ষমতা ব্যবহার করতে দ্বিধা করেনি। যেমন অনুতপ্ত হয় না পেট্রোলবোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে হত্যাযজ্ঞে। বরং এই হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই দলটি প্রাণ পায়। আর তা আরও বিস্তৃতভাবে পাওয়ার জন্য সহায়ক সন্ত্রাসী শক্তি জামায়াতকে বক্ষে আগলে রেখেছে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধ বিএনপির কাছে কোন অপরাধই নয়। যে কারণে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ও শাস্তিদানের বিরুদ্ধে বিএনপি নানা সময়ে হরতাল অবরোধ ডেকেই ক্ষান্ত হয়নি। বিচার ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতাও তৈরি করেছে। এজন্য মানুষ হত্যার মতো বীভৎস ও নারকীয় কর্মকা-ও চালিয়েছে। তাদের এই জঘন্য অপরাধকর্মের জন্য মামলা হলেও বিচারকাজ মনে হয় সুদূর পরাহত। স্বদেশী মানুষকে হত্যা করার যে পথ ও পদ্ধতি বিএনপি অবলম্বন করে আসছে, সেজন্য তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি। বরং আরও গলা হাঁকিয়ে অপরাধের সপক্ষে কথা বলেছে। আর সব অপকর্মের দায় সরকার ও সরকারী দলের ঘাড়ে চাপয়ে দিয়ে নিজেকে নিষ্কলুশ ভেবে এসেছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের এই দেশ ও জনগণ বিরোধী অপতৎপরতাকে রুখে দিয়েছিল। নাশকতার যে পথে বিএনপি এগিয়ে গিয়েছে, চাইলেই কি সে পথ থেকে ফিরে আসা যায় এবং তা-ও কি সম্ভব? তাদের আন্দোলন নামক কর্মসূচী হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটানো। সেই সন্ত্রাসের পথ ধরে তারা এ দেশে জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছে শুধু নয়, তার পৃষ্ঠপোষকতাও করে এসেছে। তাই দেখা যায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকার যদি বিরোধী দলের সঙ্গে সমঝোতায় না আসে, সে ক্ষেত্রে বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবে। প্রয়োজনে সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে হিঁচড়ে নামানো হবে। তিনি অবশ্য ব্যাখ্যা দেননি এই নামানোর জন্য কী ধরনের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করা হবে। বল্গাহীন এই মওদুদীয় ভাষ্য মানুষের মনে সেসব দৃশ্য তুলে আনে যেখানে, নির্বাচিত হওয়ার পর বিএনপি-জামায়াত জোট সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘু নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটে নারকীয় অবস্থা সৃষ্টি করেছিল, সেসব বীভৎসতা মানুষ ভুলে যায়নি। দেশের এমন কোন এলাকা নেই, যেখানে বর্বরতা চালায়নি। ক্ষমতায় বসে সরকারী মদদে তারা যা করেছে, তার রেশ তারা ক্ষমতায় না থেকেও বহাল রেখেছে। কিন্তু জনগণের বিরোধিতার কারণে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ২০১৬ সালে এসে। তাদের শক্তিমত্তা সন্ত্রাসবাদে নিয়োজিত হওয়ার কারণে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে দিশেহারা আজ। স্বাভাবিক রাজনীতির ধারে কাছেও আর যেতে পারছে না। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে ঘোষণা দিলেও পরাজয়ের সম্ভাবনা থাকায় নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটতে চায়। প্রয়োজনে নির্বাচন বানচাল করতে চাইবে। যেমনটা ২০১৪ সালের নির্বাচন বানচাল করতে যেয়ে ব্যর্থ শুধু নয়, দলের অস্তিত্বই বিলুপ্তির পথ ধরেছিল। মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ ছাড়া আর কিছু অর্জন করতে পারেনি বিএনপি-জামায়াত জোট। মওদুদের এই আস্ফালন সম্পর্কে আওয়াী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন নির্বাচন হবেই, এই নির্বাচন বানচাল করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। তারা অভ্যুত্থান ঘটাতে চায়। আমাদের টেনে হিঁচড়ে নামাতে চায়। তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, যদি সাহস থাকে, তাহলে সেই চেষ্টাই করুক। যারা ২০১৩-১৪ সালের মতো সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারও যদি জেলে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে ওই ধরনের আন্দোলন করায় হুমকি দিতেই পারে। নির্বাচন বানচালের ক্ষমতা যে বিএনপির নেই, সেটা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদও জানেন। তবে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে হামলা, মামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছে। রাজপথে থেকেছে। তাদের পাঁচ বছরের দুঃশাসনে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বাড়ি ঘরে যেতে পারেনি। এমনকি মায়ের জানাজায়ও অংশ নিতে এলাকায় যেতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে গুলি বোমাকে মাথায় নিয়ে তোফায়েল আহমদ এলাকায় গিয়েছেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে ঐক্য করে বিএনপি ভোটের মাঠে গিয়ে মানুষের ধিক্কারই কুড়াবে। এটা সর্বজনবিদিত যে, বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করেছে। আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষকে মেরেছে। ২৪ পুলিশকে হত্যা করেছে। আট বছরের শিশুকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। তারা আর একবার সুযোগ পেলে খুন করে ঘরে ফিরবে বলে ২০ দলীয় জোট নেতারা মনে করেন। তারা এমনটাও বলেছেন, শান্ত গ্রামকে তছনছ করতে খালেদা-জামায়াত জোট আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। কিন্তু গণরায় পাবে না বুঝতে পেরে নির্বাচনকে সামনে রেখে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। বিস্ময়কর যে, ২০০১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যেসব নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের বিরুদ্ধে অনুরূপ কাজটি করেনি। শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না বলেই ‘সন্ত্রাসী দল’ হিসেবে বিদেশী তকমাপ্রাপ্ত বিএনপি-জামায়াত জোট এখনও দিব্যি মাঠে রয়েছে। অথচ তাদের থাকার কথা জেলখানায়। একাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বিএনপি সংবিধান বহির্ভূত বিধিবিধান চালু করতে চায়। কখনও তত্ত্বাবধায়ক, কখনও সহায়ক, কখনও অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি তুলে আসছে। সে সরকারের রূপরেখা কি হবে, তা তারা আজও স্পষ্ট করতে পারেনি। পারার কথাও নয়। কারণ যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তারা গঠন করেছিল নবম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, সেই সরকার তিন মাসের স্থলে টানা দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। আর সেই সরকারই বেগম জিয়া ও তদীয় পুত্রদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচারের মামলা করেছিল। রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞ, গুম, নির্যাতনের বিষয়ে কোন মামলা অবশ্য তারা দায়ের করেনি। সেইসব মামলার বিচার কাজ আজও চলছে। যে বিচারের মুখোমুখি হতে চায় না বলেই আদালতে দীর্ঘদিন গড়হাজির থেকেছেন বেগম জিয়া। আর পুত্র তো পুলিশের খাতায় পলাতক হিসেবে চিহ্নিত। দুর্নীতির মাতা-পুত্র যখন অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন, তখন তা হাসির খোরাকই যোগায়। স্মরণযোগ্য যে, বিএনপি সামরিক আইন জারি করে সংবিধান পরিবর্তন করেছিল। এক সময় তারা সংবিধান নিয়ে ফুটবল খেলেছে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মনে করেন। বলেছেন তিনি, তবে এখন আর জনগণ তা হতে দেবে না। বিএনপি আসুক আর নাই আসুক আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুসারেই হবে। বিএনপির জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা হবে না। সংবিধান অনুসারে আগামী সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। গ্রেনেড হামলা চালিয়েও হত্যা করতে না পারা শেখ হাসিনাকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান রেখে নির্বাচনে যাবে না। অর্থাৎ সংবিধানের বিধি বিধানকে তারা মেনে নিতে পারছে না। পারার কথাও নয়। কারণ সংবিধানকে তারা ‘থোড়াই কেয়ার’ করে। আদালত তাদের সংবিধান সংশোধনী বাতিল করে দিয়েছে। সুতরাং ভারতসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত হয় নির্বাচনকালে, অনুরূপ সরকার পরিচালিত হবে বাংলাদেশেও। কিন্তু গণতন্ত্র ও সংবিধান মেনে না চলা বিএনপি চায়, তাদের খেয়াল খুশি অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে। আর এ নির্বাচনের আগে তাদের বিরুদ্ধে যত দুর্নীতি, নাশকতা, পেট্রোলবোমার মানুষ হত্যা ইত্যাকার মামলা রয়েছে, সেসব বাতিল করতে হবে। অর্থাৎ আইনের শাসনকে স্থগিত রাখতে হবে। খালেদা ও তারেকের বিরুদ্ধে বর্তমানে ৪৫টি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রয়েছে ১৮টি। তারেকের বিরুদ্ধে ২৭টি, এগুলোর মধ্যে দুর্নীতি, গ্রেনেড হামলা, অর্থ পাচার, অবৈধ সম্পদ অর্জন, ফৌজদারি, রাষ্ট্রদ্রোহ,মানহানি এবং দেওয়ানী মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ যতই আগ্রহী হোক না কেন বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে ততই দলটি ঘাড়ে উঠার চেষ্টা করছে। দুর্বল সাংগঠনিক কাঠামোর কারণে সভা, সমাবেশ, আন্দোলন করতে না পারলেও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অন্যের প্রতি বিষোদগার থেমে নেই বেগম জিয়ার। বিএনপি চায় সব মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। কীভাবে তা সম্ভব হবে? পেট্রোলবোমায় নিহতদের স্বজনরা তো চায় এসব হত্যার বিচার। সেই বিচার প্রত্যাহার বা স্থগিত করা মানে আইনের শাসন এবং জনগণের অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা। তাই তারা নির্বাচন কমিশনারের উপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে যেন, মামলা প্রত্যাহার করা হয়। অথচ এসব ইসির এখতিয়ারে নেই। কিন্তু বেগম জিয়া নাচার। তিনি যা বলবেন, হুকুম দেবেন, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। জেনারেল বেগম হুঙ্কার তোলেন সরকারের পতন ঘটাবেন। কিন্তু পতন ঘটাতে যে জনগণের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তা তিনি মনে করেন না। বরং জনমত উপেক্ষা করেই তিনি এতটা পথ পাড়ি দিয়েছেন, যেখানে ফলাফল শূন্য। বিএনপি কি চায়? তাদের এই চাওয়ার কথা তুলে ধরেছেন দলটির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম। বলেছেন তিনি যা, তাতে চোরাগোপ্তা পথেই এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প শোনা যায়। ফখরুল বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের পতন স্বাভাবিকভাবে করতে পারব বলে মনে হয় না। এদের বিদায় ঘটাতে হাতিয়ার লাগবে। রুখে দাঁড়াতে হবে। এ সরকারকে বিদায় করতে না পারলে বিএনপির সবই ব্যর্থ হবে।’ আসল সত্য উন্মোচন করার জন্য ফখরুলকে ধন্যবাদ। তারা যে সশস্ত্র পন্থা আবারও অবলম্বন করতে চায়, তা তাদের আচরণেই পরিষ্কার। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট। ফখরুল কোন ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করবেন, তা হয়ত শীঘ্রই খোলাসা করবেন। একাত্তরে জামায়াতের আল বদর বাহিনী ঢাকার রাজপথে সশস্ত্র মিছিল কালে সেøাগান তুলত, ‘তুলে নাও হাতে মেশিনগান। খতম কর হিন্দুস্তান’ সেই পথ ধরেই ফখরুল এই হুমকি দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এই হুমকিকে ধর্তব্যের মধ্যে না আনলেও বলেছেন, আগামীতে কাউকে অস্ত্র নিয়ে জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করতে দেয়া হবে না। আমরা তাদের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনের জবাব হাতুড়ি দিয়ে দেব। অর্থাৎ আঘাত দিলে প্রত্যাঘাত হবেই। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি নেবে না। সে নিয়ে দুর্ভাবনায় আছে। দুর্বল সাংগঠনিক শক্তি, দুর্বল চিন্তাধারা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সহজ নয়। হাতিয়ার হাতে নিয়ে সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামানোর দিবাস্বপ্ন, তাদের ধূলিস্যাত হতে বাধ্য। নির্বাচন হবেই। কারণ জনগণ তা চায়।
×