ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটিয়ায় সংরক্ষিত বন ও সামাজিক বনায়ন

মাসে কোটি টাকার কাঠ পাচার

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

মাসে কোটি টাকার কাঠ পাচার

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২৫ নবেম্বর ॥ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়ক হয়ে প্রতি মাসে অবৈধভাবে কোটি টাকার কাঠ পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে দিনে ও রাতে পাহাড়ী এসব কাঠ পাচার হলেও অদৃশ্য কারণে বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা নীরব। অভিযোগ উঠেছে, কাঠ পাচারকারী বন বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা দিয়ে প্রতিদিন সেগুন, চাম্পা, গামারি, গুদা, গর্জন, চাপালিশ, গুডগুটিয়া ছাড়াও সংরক্ষিত বনের বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ পাচার হচ্ছে। তবে মাঝেমধ্যে পুলিশ ও বন বিভাগ কিছু কাঠ উদ্ধার করে মামলা দিলেও পরবর্তীতে বনদস্যুরা তাদের কাঠ পাচার অব্যাহত রাখে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পটিয়া থানা পুলিশ ও পটিয়া রেঞ্জ বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে বেশকিছু চোরাই কাঠ উদ্ধার করেছে। তবেকাঠ পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি।জানা গেছে, প্রতিদিন দিনে ও রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহাসড়ক হয়ে অবৈধভাবে কাঠ পাচার হচ্ছে। পার্বত্যাঞ্চল বান্দরবান এলাকা ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব কাঠ প্রতিদিন মহাসড়কের পটিয়া হয়ে যাচ্ছে। ফলে সরকারের সংরক্ষিত বনের পাশাপাশি সামাজিক বনায়নের কোটি টাকার কাঠ অবাধে পাচার হচ্ছে। বন বিভাগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, কাঠ পাচারকারীরা বন সংরক্ষক (চট্টগ্রাম অঞ্চল) জগলুল হোসেনকে বশে এনে কাঠ পাচার অব্যাহত রেখেছে। শুক্রবার রাতে পুলিশ ও বন বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে জারুল, মেহগনি ও কয়েকটি প্রজাতির পাহাড়ী কাঠসহ একটি পিকআপ (চট্ট মেট্রো ন-১১-৬১১১) আটক করেছে। পটিয়া রেঞ্জের বন কর্মকর্তা সুলতানুল আলম চৌধুরী জানান, দক্ষিণ বন বিভাগের পটিয়ায় কোন চেকপোস্ট না থাকায় প্রতিদিন অবাধে কাঠ পাচার হচ্ছে। কাঠ পাচারের গাড়ি আটকের পর পাচারকারীরা সিএফের লোক বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। কাঠ পাচারের বিষয়টি সিএফ জগলুল হোসেন অস্বীকার করেন।
×