ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নগদ অর্থের সঙ্কট থেকে বের হয়ে এসেছে ৭ প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

নগদ অর্থের সঙ্কট থেকে বের হয়ে এসেছে ৭ প্রতিষ্ঠান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নগদ অর্থের সঙ্কট থেকে বের হয়ে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নন-ব্যাংকিং আর্থিক খাতের ৭ প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো বিডি ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, পিপলস লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস, প্রিমিয়াম লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স এবং ইউনাইটেড ফাইন্যান্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কোন কোম্পানির কাছে কি পরিমাণ নগদ অর্থ আছে তা অপারেটিং ক্যাশ ফ্লোর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। একাধিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোন ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে যাওয়া মানে ওই ব্যাংকটিতে নগদ অর্থের সঙ্কট তৈরি হওয়া। শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) যত বেশি ঋণাত্মক, নগদ অর্থের সঙ্কটও তত বেশি। এ অবস্থা তৈরি হলে চাহিদা মেটাতে ব্যাংকটিকে চড়া মাসুলে স্বল্প মেয়াদে টাকা ধার করতে হয়। তাতে খরচ বাডছে। আর খরচ বাড়লে আয় কমে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। তারা আরও বলেন, শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে যেকোন কোম্পানির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লোও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক। এটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির আর্থিক অবস্থার ধারণা পাওয়া যায়। ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক মানে ওই কোম্পানির কাছে নগদ অর্থের ঘাটতি রয়েছে। আর ক্যাশ ফ্লো ইতিবাচক মানে হলো ওই কোম্পানির হাতে উদ্বৃত্ত তহবিল রয়েছে। জানা যায়, চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টম্বর ’১৭) নগদ অর্থের ঘাটতি থেকে বের হওয়া বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৮.৭৩ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২.৪৮ টাকা ঋণাত্মক। আইডিএলসি ফাইন্যান্স নগদ অর্থের ঘাটতি কাটিয়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ১৩.০৮ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫.৭৬ টাকা ঋণাত্মক। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স নগদ অর্থের ঘাটতি কাটিয়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৩.২৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১৬.৭১ টাকা ঋণাত্মক। পিপলস লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স নগদ অর্থের ঘাটতি কাটিয়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২.৭৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৭.২৯ টাকা ঋণাত্মক। প্রিমিয়াম লিজিংয়ের নগদ অর্থের ঘাটতি কাটিয়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ৬.৫৭ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২.০২ টাকা ঋণাত্মক। প্রাইম ফাইন্যান্স নগদ অর্থের ঘাটতি কাটিয়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২.৬৪ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২.৬৪ টাকা ঋণাত্মক। ইউনাইটেড ফাইন্যান্স নগদ অর্থের ঘাটতি কাটিয়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো হয়েছে ২.২৫ টাকা। যা এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩.০২ টাকা ঋণাত্মক। এদিকে নগদ অর্থের সঙ্কট থেকে এখনও বের হতে পারেনি ২ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এগুলো হলো- ইউনিয়ন ক্যাপিটাল এবং জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ২.১৮ টাকা ঋণাত্মক। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ১.৫৮ টাকা ঋণাত্মক ছিল। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানির অর্থের ঘাটতি বেড়েছে ০.৬০ টাকা। জিএসপি ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ০.৭০ টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের ঘাটতি ছিল ০.৭৯ টাকা ঋণাত্মক। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় কোম্পানির অর্থের ঘাটতি কমেছে ০.০৯ টাকা।
×