আপনার উদ্দেশ্য যদি হয় সাধ্যের ভেতর বিদেশে উচ্চ শিক্ষা, সেক্ষেত্রে পছন্দের দেশ হতে পারে মালয়েশিয়া। পর্যটন কেন্দ্রিক দেশ হওয়াতে এখানে রয়েছে প্রচুর কাজের সুযোগ। লেখাপড়া, থাকা খাওয়ার খরচও এখানে তুলনামূলক কম। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার জীবনযাত্রার মানও উন্নত। মালয়েশিয়ায় বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশ থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্তত এক লক্ষ চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকেও অনেক শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ায় যান। তবে কোনও দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে সেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কেমন, কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি কত, থাকা-খাওয়া ও যাতায়াত খরচ কেমন ইত্যাদি। মালয়েশিয়া পড়তে যাওয়ার আগে এ কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা ভাল।
মালেশিয়ায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘নলেজ হাব’ও ঢাকার ‘মেন্টরস্ স্টাডি অ্যাবরড’ এর যৌথ প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ার নির্বাচিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য বৃত্তির সুযোগ করে দিচ্ছে।
চায়নার বিখ্যাত জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ায় ক্যাম্পাস স্থাপন করেছে। জিয়ামেন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সেলানগড়ের মধ্যে বন্দরকোটা ওয়ারিসান এ অবস্থিত, যা কুয়ালালামপুরের কাছে। ক্যাম্পাসটি আধুনিক সকল সুবিধাসহ ১৫০ একর জায়গা নিয়ে নির্মিত। জিয়ামেন চায়নার একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠাটি বর্তমানে চায়নাতে ৯ম, এশিয়াতে ৩৭তম এবং বিশ্বে ২৭৫তম স্থানে রয়েছে। এখানকার ৮৮% ফ্যাকাল্টিই পিএচডি ডিগ্রীধারী। এখানে প্রকৌশল, মেডিসিন, সমাজবিজ্ঞান, ব্যবসায়, আইসিটি, মাল্টিমিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম এ পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি ‘জিয়ামেন ইউনিভার্সিটি’ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য মেধাভিত্তিতে বিভিন্ন স্কলারশিপ ঘোষণা করেছে। মেধারভিওিতে টিউশন ফি এর ওপর স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। সর্বোচ্চ ৭৫% স্কলারশিপ পাবেন শিক্ষার্থীরা। স্কলারশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বাকি টিউশন ফি এবং মালয়েশিয়াতে থাকা ও খাওয়ার আনুষঙ্গিক খরচ বহন করার সামর্থ্য থাকতে হবে। ভাল ফলাফল এর মাধ্যমে স্কলারশিপ প্রতি-বছর নবায়ন করার সুবিধা রয়েছে।
স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে হলে এসএসসি এবং এইচএসসিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪ অথবা ‘ও’ লেভেলে ন্যূনতম ৫টি বিষয়ে এ এবং ‘এ’ লেভেলে ন্যূনতম ১টি বিষয়ে এ ও ৩টিতে বি অথবা জিইডিতে শতকরা ৮০ ভাগ নম্বর থাকতে হবে।
জিয়ামেন ইউনিভার্সিটির হেড অব রেজিওনাল স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট কর্মকর্তা মি. টনি ঝেং সরাসরি শিক্ষার্র্র্থীদের স্কলারসিপের জন্য সাক্ষাতকার নিচ্ছেন। তিনি আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। এ সময়ে তিনি এবং ‘নলেজ হাব’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মি. আরিফ সাইদ ঢাকা, চট্টগ্রাম, এবং খুলনার বিভিন্ন জায়গায় ‘স্কলারশিপ সাক্ষাতকার’ আয়োজন করবেন। সাক্ষাতকারের জন্য শিক্ষার্থীকে সকল একাডেমিক কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত থাকতে হবে।
উক্ত ‘স্কলারশিপ সাক্ষাতকার’ সম্পর্কে মেন্টরস্রে সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রদীপ রায় জানান, জিয়ামেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের তথ্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। যোগাযোগ : ০১৭১৩২৪৩৪২২, ০১৯৬৯০০৯০০০।
