ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়া জাপা নেতার অবৈধভাবে বহুতল মার্কেট নির্মাণ

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

কলাপাড়া জাপা নেতার অবৈধভাবে বহুতল মার্কেট নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ কলাপাড়া পৌর এলাকায় সরকারি খাল ভরাট করে জাতীয় পার্টি (এ) নেতা আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বহুতল মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। একেতো খাস জমি তার ওপরে কোন ধরনের অনুমোদনবিহীন নকশা দিয়ে চলছে বহুতল মার্কেট নির্মাণ কাজ। স্থানীয় ভূমি অফিসের মন্তব্য ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকায় তাদের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। কুয়াকাটা পৌর এলাকার মৃত আদম আলী হাওলাদারের পুত্র, জাপা (এ) নেতা মো: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তার দুই মেয়ের নামে খেপুপাড়া মৌজার এসএ ২৩৫ নং খতিয়ান থেকে ১৫ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে কর্মরত তার মেয়ে জামাই মোঃ নজরুলের মাধ্যমে ভূমি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তার কেনা জমির সামনের অংশ ভরাট করে দখলে নেয়। কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের পাশে নাচনাপাড়া মহল্লায় এই জমির অবস্থান। সরকারি জলাশয়ের বিরাট অংশ ভরাট করে বালু ভরাট করে পৌরসভার কোন ধরনের অনুমোদনহীন নকশার মাধ্যমে চালাচ্ছেন বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ। ওই জায়গাটি একটি খাল। এখনও দুইদিকে কোমরসমান পানি রয়েছে। জাপা নেতা আনোয়ার স্থানীয় আবদুর রশিদ কালার কাছ থেকে ওই জলাশয়টি কিনে নিয়েছেন। বর্তমানে খাল থাকলেও এরশাদ সরকারের আমলে ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে আনিপাড়া মৌজার ৪৪৭ নং খতিয়ানে ওয়ারিশ সূত্রে পৈত্রিক সম্পত্তি থাকার পরও ভূমিহীন সেজে জেএল ৪ নং আনিপাড়া মৌজার এক একর ৫২ শতক। যার বন্দোবস্ত কেস নম্বর ১৭৫ খে/১৯৮৯-৯০, দলিল নং-২৯২৪ এবং খেপুপাড়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের জলাশয়কে অফিসের যোগসাজশে নাল ভূমি দেখিয়ে ৯০কে/১৯৮৬-৮৭ কেস নম্বরে দলিল নং-৬৮৬৭ এর মাধ্যমে এক একর ২৩ শতক জমি বন্দোবস্ত নেয়। অভিযোগ রয়েছে এছাড়াও তিনি নীলগঞ্জ মৌজায় তিন একর খাস জমি হাতিয়ে নেয়। আব্দুর রশিদ কালা পৌর এলাকার ১১৫৩ নং দাগের ওই জলাশয়টি বিপুল অঙ্কের টাকায় বিক্রি করেন জাপা নেতা আনেয়ার হোসেনের কাছে। জনস্বার্থে ভূমি কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী স্থানীয়রা ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন করে। এতে ১১৫৩ দাগের ওই বন্দোবস্ত কেসটি বাতিল হওয়ার উপক্রম হয়। এ কারণে কালা সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা ০৮/২০১৪ দায়ের করেন। সরকারী কৌশুলী মোকদ্দমার স্বাক্ষী ভূমি অফিস কর্মচারীদের জেরা না করায় সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রাপ্ত হন কালা। এরপর নিম্ন আদালতের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষে জিপি বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৮৪/২০১৬ আপীল মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রের স্বার্থ সম্পর্কিত ওই আপীল মামলা নিস্পত্তি হওয়ার আগেই কালা ওই খাস খতিয়ানের জমি বিক্রি করেন। ৯৯ বছরের বন্দোবস্তের জলাশয় (খাল) ইতোমধ্যে বালু দিয়ে ভরাট করে পৌরসভা অনুমোদন ছাড়াই জাপা নেতা আনোয়ার হোসেন ২৬০০ বর্গফুটের এ বহুতল মার্কেট নির্মাণের এক তলার ছাদের ঢালাই সম্পন্ন করেন।
×