ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের খোঁজ ৭ বছরেও মেলেনি

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের খোঁজ ৭ বছরেও মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়া জেলার উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের জনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন খানের সাত বছরেও সন্ধান মেলেনি। সে জীবিত আছে নাকি সন্ত্রাসীরা ডিবি পরিচয়ে অপহরণের পর হত্যা করে তার লাশ গুম করেছে তা আজও জানেন না হুমায়ুন খানের পরিবারের সদস্যরা। ২০১০ সালের ২৩ নবেম্বর ঢাকার মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খানকে তুলে নেয়া হয়। এরপর থেকেই তার কোন সন্ধান মেলেনি। ওই সময় বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের পর তারা হুমায়ুন খানকে তুলে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে। পরবর্তীতে নিখোঁজ ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন খানের ছোট ভাই মঞ্জু খান বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন (যার নং-৯৯৪)। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর একই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয় (যার নং ২৪/৫৩১)। ওই মামলায় উজিরপুরের ওটরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালকে প্রধান আসামি করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিহেশনে (পিবিআই) তদন্তাধীন। মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা মঞ্জু খান অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন ওটরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বর্তমান উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবাল নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে তার ভাই হুমায়ুন খানকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করেছে। আর এ অভিযোগ তুলে তার (ইকবাল) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তাকে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবালের সহযোগীরা চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর উজিরপুর উপজেলার ডাকবাংলোর সামনে বসে তার (মঞ্জু খান) ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। অপরদিকে সাবেক এ ইউপি চেয়ারম্যানের নিখোঁজের সাত বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত তার পরিবার ও স্বজনরা জানেন না তাদের প্রিয়জনের ভাগ্যে কী জুটেছে। সে জীবিত আছে নাকি মারা গেছে? তাই তারা নিখোঁজ হুমায়ুন খানের সন্ধান পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×