ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাজীগঞ্জে সেতু আছে সড়ক নেই ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৫ নভেম্বর ২০১৭

হাজীগঞ্জে সেতু আছে সড়ক নেই ॥ দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ২৪ নবেম্বর ॥ হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ও গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়নের খালের ওপর নির্মিত সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক সম্পন্ন না হওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার বাসিন্দার। তারা সেতুর ওপর দিয়ে এলেও পার হতে হচ্ছে সাঁকো দিয়ে। শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধ মানুষ পার হতে না পেরে বিকল্প সড়ক দিয়ে অধিক সময়, অর্থ ব্যয় করে উপজেলায় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করছে । গত প্রায় ৬ মাস পূর্বে এ সেতুর কাজ শেষ হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতু নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়। যাতে ব্যয় হয় ৩০ লাখ টাকা। ওই এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, উপজেলার বড়কুল ও গর্ন্ধব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী মাটির সড়কের একটি অংশে সেতুটির অবস্থান। এর মধ্যে সেতুটির পূর্ব অংশ উপজেলার গর্ন্ধব্যপুর পালিশারা গ্রাম ও পশ্চিমপাড় উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের দিকচাইল গ্রামে অবস্থিত। আর সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়কে মাটি না থাকার কারণে সংযোগ সড়কের পরিবর্তে বাঁশের সাঁকোতে পারাপার হতে হয়। সেতুর সংযোগ সড়কের অভাবে স্থানীয় ইউনিয়নগুলোর হাজার হাজার এলাকাবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আবার একই কারণে স্থানীয়দেরকে পালিশারা বাজার হয়ে হোটনী পাঁচৈই প্রায় ৩ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কে ওঠতে হয়। ব্রিজের নিচ দিয়ে যাওয়া খালের পানি দিয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামের মাঠে ইরিগেশনের মাধ্যমে ইরি-বোরো চাষাবাদ হয়। হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে। আর সংযোগ সড়ক নির্মাণে মাটির কাজ ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তবে ঠিকাদার আমাকে বলেছেন সংযোগ সড়কে মাটি ফেলতে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য বাধার সৃষ্টি করছে। ঠিকাদার আকবর হোসেন জানান, আমি সেতুর দুইপাশে মাটি ফেলার জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে ৭০ হাজার টাকা চুক্তি দিয়েছি। তবে সে কিছু মাটি ফেলার পর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পানি নেমে গেলে মাটি দেয়া হবে। হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া জানান, আমি বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
×