ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মৃত্যুবার্ষিকীতে বক্তারা

নতুন বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণা জগদীশ চন্দ্র বসু

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

নতুন বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণা জগদীশ চন্দ্র বসু

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ কুসংস্কার বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান সমস্যা। বিজ্ঞান মনস্কতার অভাবে এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশে বিজ্ঞানের সঙ্কট চলছে। জগদীশ চন্দ্র বসুর মতো মহাপুরুষদের জীবনী আমাদের সামনে রাখলে আমরা কুসংস্কারমুক্ত সোনার বাংলাদেশ পরিণত করতে পারব। কারণ জগদীস চন্দ্র বসু তার সময়ের থেকে ৬০ বছর এগিয়ে ছিলেন বলে একজন সব্যসাচী বিজ্ঞানী ইনস্টিটিউট অব লন্ডন বলেছিলেন। তাই তিনি নতুন বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কেন্দ্রের অডিটরিয়ামে ‘আচার্য জগদীস চন্দ্র বসুর ৮০তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্ট্রারট্রেক ড্রিম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক রুশো তাহের। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক মনিরুজ্জামান খন্দকার, এবিসি রেডিও -এর উপদেষ্টা মনোরঞ্জন দাস, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জীবন পোদ্দার, কলামিস্ট ও রাজনীতিবিদ শেখর দত্ত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নূরে আলম আবদুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, ছোট বেলায় পাঠ্যবইয়ে আমরা পড়েছি, ‘জগদীস চন্দ্র বসু গাছের প্রাণ আছে আবিষ্কার করেছেন।’ আসলে এটি হলো একটি অপভ্রংশ। তিনি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়, পদার্থবিজ্ঞান, জীব বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিচরণ করেছেন। তার বিশেষত হলো তিনি তার নিজের তৈরি যন্ত্রপাতি আবিষ্কার করেছেন। কলামিস্ট শেখর দত্ত বলেন, জগদীস চন্দ্র ছিলেন খাঁটি বাঙ্গাল। বাংলার মাটি বাতাসে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। ভারতের বিজ্ঞান চর্চায় তিনি ছিলেন এক নম্বর পুরুষ। তিনি নতুন বিজ্ঞানীদের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান চর্চা দেখে একটি জাতির উন্নতি অনুমান করা যায়। জগদীস চন্দ্র বসুর উদাহরণ কে তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রেরণার উৎস করতে হবে। তাহলে আমাদের বাংলাদেশ সোনার বাংলা তৈরি হবে।
×