ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেনজির আবরার

মীলাদের প্রিয় ‘পপ অফ কালার’

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

মীলাদের প্রিয় ‘পপ অফ কালার’

মেয়েদের অভয়ারণ্য বলা যেতে পারে ‘পপ অফ কালার’ কে। একটু বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে বর্তমানে কি টেন্ড, স্টাইল চলছে এটা নিয়েই আলোচনা হয় এখানে, এক কথায় মেয়েদের লাইফস্টাইল নিয়ে অ ঞঙ ত কথা /আলোচনা/ ইনফরমেশন শেয়ার করা হয়ে থাকে। এটি আসলে রোটারি টাইপের ক্লাবগুলোর আন্তর্জাতিক এবং ডিজিটাল ভার্সন। সাধারণত এ টাইপের ক্লাবগুলোতে কোন নির্দিষ্ট এলাকা, শহরের মানুষ মেম্বার হতে পারে। কিন্তু পপ অফ কালারের বিশ্বের সব দেশের অবস্থিত বাংলাদেশের মেয়েদের এক জায়গায় করেছে/বা করার আপ্রাণ চেষ্টার চলছে। সব পেশার মেয়ে থেকে মহিলারা যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেকচার, ইন্টেরয়ার, ডিজাইনার, অভিনেত্রী থেকে মেকআপ আর্টিস্ট সবাই সমানভাবে একটিভ মেম্বার হিসেবে আছেন। পপ অফ কালারের সব মেম্বারের পশিয়ান বলা হয়ে থাকে। এটি আসলে টাইটেল পপ অফ কালারের মেম্বারদের। পপ অফ কালার এখন একটি ব্র্যান্ড !!! শুধু এই নামেই অর্থাৎ পপ অফ কালারের মেম্বার হলেই নাম করা অনেক শপ থেকে শুরু করে ‘অ’ গ্রেড অনলাইন পেজে মূলছাড় থেকে শুরু করে বিশেষ খাতির পেয়ে থাকেন !!! যা পপ অফ কালারের শুরুর আগে অকল্পনীয় ছিল। শুধু একটি অনলাইন গ্রুপের মেম্বার হলেই মূল্য ছাড়, এটি আসলে পপ অফ কালারের অনেক বড় অর্জন। এই প্রথম কোন ফেসবুক গ্রুপ বাংলাদেশের মেয়েদের আন্তর্জাতিক লেভেলে নিয়ে গিয়েছে। এভাবেই শুরু হয় ‘পপ অফ কালার’ এর যাত্রা। অর্জিত সাফল্য : অর্জিত কিছু সাফেল্যর মধ্যে সর্বপ্রথম সাফল্য হলো বিশ্বখ্যাত হেয়ার স্টাইলিস্ট ‘জাওয়াদ হাবীব’ এর সঙ্গে ‘পপ অফ কালার’ এর কোলাবোরেশন এবং ‘পপ অফ কালার’ এর মেম্বারদের জন্য বিশেষ মূল্যছাড়। এটি ‘পপ অফ কালার’ এর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম অর্জন। এভাবেই শুরু হয় পপ অফ কালারের মেম্বারদের জন্য মেম্বারশিপ কার্ডের সূচনা। একটি ফেসবুক গ্রুপের মেম্বার হিসেবে এই রকম পরিচিতি কেবল মাত্র পপ অফ কালারই নিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০০-এর বেশি মেম্বার রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে কার্ড গ্রহণ করেছেন। আর এই কার্ডের বিশেষত হলো এটা প্রদর্শন করে মেম্বাররা পপ অফ কালারের সঙ্গে কোলাবোরেটেড বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন শপ, অনলাইন পেজ, খ্যাতিসম্পন্ন রেস্টুরেন্ট, এমনকি রেসোর্টেও বিশেষ খাতির ও মূল্যছাড় পাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পপ অফ কালারের মেম্বাররা প্রতিবছর আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা এ নামকরা স্টল ও প্যাভিলিয়নে বিশেষভাবে মূল্যছাড়ও পেয়েছেন। বতর্মানে অনেক নতুন অনলাইন শপিং পেজ ও গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। এই পেজ ও গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতাদের ও বিক্রেতাদের প্রোমোশন এবং প্রচারের জন্য প্রথম পছন্দ পপ অফ কালার, তেমনি একইভাবে ক্রেতাদেরও। কারণ পপ অফ কালারই একমাত্র ফেসবুক গ্রুপ যা সবচেয়ে দ্রুত ও সর্বব্যাপৃত প্রচারেরও একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক পেজ ও গ্রুপকে পপ অফ কালার প্রমোশন দিয়েছে। এটি পপ অফ কালারের আরও একটি অর্জন। পপ অফ কালার বতর্মানে উভয় পজিটিভ ও নেগেটিভ রিভিউয়ের একটি আলোচিত প্লাটফর্ম। গ্রুপের মেম্বাররা তাদের দৈনন্দিন যেকোন ক্ষেত্রে অর্জিত বিভিন্ন অভিজ্ঞতা গ্রুপে প্রকাশ করে থাকেন। এতে গ্রুপের অন্য মেম্বাররা উপকৃত হয়। গ্রুপে প্রকাশিত কোন নেগেটিভ রিভিউ নিয়েও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হয়। যা পপ অফ কালারের একটি বিশেষ অর্জন। তন্মধ্যে একটি অর্জন অবশ্যই উল্লেখ্য, সম্প্রতি ‘পপ অফ কালার’ এর ২য় জন্মদিন ছিল। যা উদযাপিত হয়েছে একবারেই ভিন্নভাবে। এই জন্মদিন উপলক্ষে ৩ দিনব্যাপী একটি বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা হয় ‘চলুন রঙিন খুশি ছড়াই’ এই নামে। এই উৎসবটির মূল লক্ষ্য ছিল দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের মধ্যে খুশি ছড়িয়ে দেয়া। একটি অন্নুত বৃদ্ধাশ্রমে প্রায় ২৫ বৃদ্ধ নারীদের এক মাসের খাদ্য ও প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র দান, একটি পথশিশুদের বিদ্যালয়ে ১০৫ শিক্ষার্থীকে শীতবস্ত্র দান এবং রেলওয়েতে বসবাসরত কিছু মানুষ ও শ্রীমঙ্গল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি অন্নুত গ্রামে ১০০টি কম্বল দান করার মাধ্যমে উৎসবটি উদযাপিত হয়। যা পপ অফ কালারের অন্যতম অর্জন। সম্প্রতি আরও কিছু নতুন অর্জন যোগ হয়েছে পপ অফ কালারের ঝুলিতে। এশিয়ান দেশসমূহের মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রচলিত এবং খ্যাতনামা গহনার কোম্পানি ‘গীতাঞ্জলি জুলেয়ারী লি.’। বাংলদেশের অবস্থিত সকল শাখার মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত ২টি শাখায় মেম্বারদের জন্য ৩৫% ডিসকাউন্ট রয়েছে যা খুব সহজেই মেম্বাররা কার্ড প্রদর্শিত করে পেয়ে যাচ্ছেন। অতঃপর, সম্প্রতি অর্জিত সবচেয়ে নতুন সাফল্যটি হলো বাংলদেশের জনপ্রিয় ও খ্যাতিসম্পন্ন পাঁচতারা হোটেলের মধ্যে একটি হলো কক্সবাজারে অবস্থিত ‘রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রেসোর্ট ও স্পা লিমিটেড’। প্রায় ১০ দিনের জন্য এই বিখ্যাত হোটেলে শুধু পপ অফ কালারের মেম্বাররা ৩৫% ডিসকাউন্ট পেয়েছেন আরও কিছু বিশেষ ব্যবস্থার সঙ্গে। আশা করি এই সাফল্যের ধারা এভাবেই আরও এগিয়ে যেতে থাকবে। পপ অফ কালারের প্রতিষ্ঠাতা জান্নাতুল মাওয়া মীম জানান, ‘প্রতিটি মেয়ের কাছে আমি পপ অফ কালারকে পৌঁছে দিতে চাই। আমি চাই পপ অফ কালারের মাধ্যমে মেয়েদের লাইফ স্টাইলে পরিবর্তন আসুক, তারা নতুন করে নিজেদের চিনতে শিখুক।’
×