ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০১৭

উবাচ

রিজভী বচন স্টাফ রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়াকে ‘জঙ্গী রানী’, ‘আগুন সন্ত্রাসের নেত্রী’ আখ্যায়িত করে একের পর এক বক্তব্য দিয়ে আসছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। কেন তিনি বারবার বিএনপি ও এ দলের প্রধানকে নিয়ে এ রকম বক্তব্য দেন এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। বলেছেন, যেহেতু অপকর্ম করে খালেদা জিয়ার মধ্যে কোন বোধশক্তি তৈরি হয়নি। সংশোধন হননি তিনি। ক্ষমা চাননি জাতির কাছে। তিনি এখনও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। তাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ রকম বক্তব্য দেয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলেও মনে করেন ইনু। কিন্তু এটা কী করে সম্ভব। হাসানুল হক ইনু বারবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে যাবেন অথচ বিএনপির কোন নেতাই কিছু বলবেন না! তা কি হতে পারে? অন্তত বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন হওয়ার কথা নয়। অনেকদিন পর হলেও ইনুর বক্তব্যের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিএনপির এক নেতা। ‘খালেদা জঙ্গী রানী ও আগুন সন্ত্রাসী’ এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ‘সন্ত্রাসের বাদশা’ বলেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার এক আলোচনায় সরকারের প্রস্তাবিত সম্প্রচার আইনের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রিজভী প্রস্তাবিত আইনে ভবিষ্যতে ইনুকেই কারাগারে যেতে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘জনবিশৃঙ্খলার জন্য দায়ী তথ্যমন্ত্রী আপনি নিজেই। আপনি সন্ত্রাসের বাদশা। জঙ্গী এবং সন্ত্রাস জন্ম ও লালন হওয়ার আগেই আপনি এ বাংলাদেশের মানুষকে চিনিয়েছেন যে জঙ্গিত্ব কাকে বলে।’ ১৪ দলের জোট শরিক জাসদের সভাপতি ইনু বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রতি আক্রমণপ্রবণ অনেক আগে থেকেই। তার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতারা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে জাসদের ভূমিকা নিয়ে তার সমালোচনা করে আসছেন। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আন্দোলন-সংগ্রাম-গণতন্ত্রের জন্য যিনি আপোস করেননি, মাথানত করেননি। তার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষণে জঙ্গী, ক্ষমতা এ সমস্ত কথাবার্তা বলেছেন। এজন্য তো প্রথমেই সম্প্রচার আইনে আপনার (তথ্যমন্ত্রী) তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা হওয়া উচিত। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ, জনবিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এই শাস্তি রাখা হচ্ছে বলে খবর পাওয়ার কথা জানিয়েই ওই মন্তব্য করেন রিজভী। তিনি আরও বলেন, ‘এই আইনের আওতায় তো প্রথমে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর তিন বছরের জেল হওয়া উচিত। ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, তারেক রহমান মালয়েশিয়ায় কল-কারখানা করেছেন। নয় বছরে তো প্রমাণ করতে পারেননি যে, মালয়েশিয়া কিংবা লন্ডনে কিংবা ইস্তানবুুলে তারেক রহমানের কোন ইন্ডাস্ট্রি আছে। তাহলে এই মিথ্যার জন্য তথ্যমন্ত্রী আপনার প্রথমেই তো প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে, আমি তো এছাড়া অন্য কিছু দেখছি না। গয়েশ্বর ফর্মুলা স্টাফ রিপোর্টার ॥ এক সময় গ্রামীণ যাত্রাশিল্পের সঙ্গে যুক্তদের মধ্যে ‘প্রস্থান’ শব্দটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ছিল। এখনও কমবেশি এই শব্দের ব্যবহার রয়েছে ধুঁকে ধুঁকে চলা এই শিল্পে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে এ শব্দের বহুবিধ ব্যবহার বেড়েছে। সবশেষে রাজনীতিতে ঢুকেছে প্রস্থান শব্দটি। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলের নেতারা এই শব্দের ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। সরকারের ক্ষমতা ছাড়া না ছাড়া ইস্যুতেও এখন সামনে এসেছে ‘প্রস্থান’ শব্দটি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ আরামদায়ক প্রস্থানের পথ খুঁজছে। এত অপকর্ম, এত অপরাধ করেছে যে, ক্ষমতায় না থাকলে তারা রেহাই পাবে না। এমনকি বিদেশে যাওয়ারও পথ খোলা থাকবে না। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তাছাড়া এমন কোন বাস্তবতা সামনে আসেনি সরকার পালানোর মতো পরিস্থিতি। তবে কেন এ কথা বললেন তিনি। নেতাকর্মীরা মনে করেন এটা নিছক বলার জন্যই বলা মাত্র। কারও কারও মত, কথার প্রয়োজনে অনেক কথাই বলতে হয় রাজনীতির মাঠে। হয়ত এজন্য এসব কথা বলেছেন গয়েশ্বর। রাজনীতিতে কথা আছে, গরম বক্তব্য ছাড়া নেতাকর্মীরা উৎসাহ পান না। জনসভা জমে না। তাছাড়া নতুন শব্দের ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার মতো বক্তব্য হলে তো কথাই নেই। অনেকে বলেন, রাজনীতিতে নতুন কথার প্রচলন একদমই নেই। একই ধরনের শব্দের ব্যবহার, একই ধররের বক্তব্য। সাধারণ মানুষ থেকে নেতাকর্মীদের ছাপিয়ে নিশ্চয়ই এমন বক্তব্য নেতাদের কানে না যাওয়ার কথা নয়। হয়ত এজন্যই চিন্তাভাবনা করে বক্তব্যে নতুন কিছু সংযোজন করার চেষ্টা করেন নেতারা। বুধবার খুলনা নগরীর ইউনাইটেড ক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কি-না এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা থেকে বিরত থাকতে কথিত বোদ্ধা মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নেবে কি-না তা নিয়ে চিন্তা করেন।
×