স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হাতে ২টি বাস পোড়ানোর ঘটনায় দিনাজপুরের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কোন ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভা। শ্রমিক-ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেনি। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় শহরের মহারাজা মোড়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) একটি বাসকে সাইড না দেয়ায় যাত্রীবাহী বাসের হেলপার ও চালকের সঙ্গে বাগবিত-ার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এসময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ২ ছাত্র ও ২ শ্রমিক আহত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি ক্যাম্পাসে পৌঁছলে শ্রমিকদের হাতে ছাত্র পেটানোর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ছাত্ররা ক্যাম্পাসের সামনে দিনাজপুর-রংপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে জড়ো হয়ে যাত্রীবাহী বাস তৃপ্তি পরিবহন ও শাহী পরিবহনে আগুন দেয়। পুলিশের সহায়তায় ছাত্রদের বাধা উপেক্ষা করে ফায়ার ব্রিগেডের সদস্যরা প্রায় এক ঘণ্টা পর আগুন নেভায়। যাত্রীবাহী বাস পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জেলার সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জনসাধারণ। মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রফিক ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী জানান, সামান্য ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা দুটি বাস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। তাদের হামলায় আহত ৮ শ্রমিকের মধ্যে আফজাল ড্রাইভার ও বেলাল হোসেনকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে তার সম্মেলন কক্ষে দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বৈঠক করলেও কোন ধরনের সমঝোতা ছাড়াই সভা শেষ হয়। বৈঠকে পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. শফিউল আলম, ছাত্র পরামর্শ বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শাহাদৎ হোসেন খান, সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম এবং সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি জাহিদ হোসেন রতন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শেলু, মোটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ রফিক, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী, সহসভাপতি সাইফুর রাজ চৌধুরী, সহসাধারণ সম্পাদক এনামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।