নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ বাউফলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল থানা সংলগ্ন ১ নং খাস খতিয়ানের ১০৪০ নং দাগের মোট ৩৮ শতাংশ জমি থেকে ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ জমি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয় ভুমি মন্ত্রণালয়। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ওই জমিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা বরাদ্ধ দেয়। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সেলিম নামের এক ঠিকাদার চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী কার্যাদেশ পায়। ১০ মাস অতিবাহিত হলেও ঠিকাদার ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করেননি। ওই ঠিকাদারের এক ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, টেন্ডার প্রতিযোগীতায় ১৭ পার্সেন্ট লেস দিয়ে কাজটি নেয় সেলিম। এখন লোকসানের আশংকায় তিনি ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু করছেন না। তাই কৌশলে এক ব্যক্তিকে বাদী করে তিনি আদালতে একটি মামলা করিয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার সেলিম জানান, মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। এদিকে বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, গত ১২ জুলাই ঠিকাদার সেলিম একটি আবেদন পত্রে উল্লেখ করেন, বাউফলের হোসনাবাদ গ্রামের মৃত মুনসুর আলীর ছেলে ইউনুছ বাদী হয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলা করার পর পটুয়াখালীর জেলা ও দায়রা জজ আদালত গত ১২ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে।
তবে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, ওই দাগে মোট ৩৮ শতাংশ সরকারি জমি রয়েছে। এরমধ্যে ৪ শতাংশ জমি নিয়ে একটি মামলার কথা শুনেছি।
এ ব্যাপাওে বাউফল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শামসুল আলম মিয়া দ্রুত ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরুর করার দাবি জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: