ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রেফারি আজাদ রহমানের অবসর, আবাহনী ২-০ মোহামেডান

সানডের জোড়া গোলে আবাহনী হারাল মোহামেডানকে

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

সানডের জোড়া গোলে আবাহনী হারাল মোহামেডানকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অনেকদিন পর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান-আবাহনী দারুণ শ্বাসরুদ্ধকর এবং উপভোগ্য এক দ্বৈরথ দেখলো দর্শকরা। এই জমজমাট লড়াইয়ে ২-০ গোলে জয়ী ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। জোড়া গোল করেন আবাহনীর সানডে চিজোবা। নিজেদের চতুর্দশ ম্যাচে এটা ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’ বাহিনীর নবম জয়। ৩০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা আছে আগের তৃতীয় স্থানেই। তাদের সমান পয়েন্ট শেখ জামাল ধানম-িরও। কিন্তু এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা। গোল গড়েও এগিয়ে (জামাল +১৮, আবাহনী +১০)। তাই জামাল আছে দুই নম্বরে। পক্ষান্তরে ১৪ ম্যাচে এটা মোহামেডানের সপ্তম হার। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে আগের ষষ্ঠ স্থানেই। চলতি লীগের প্রথম সাক্ষাতে মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। গত লীগে দু’বারের মুখোমুখিতে দুইবারই আবাহনীর কাছে মোহামেডান হারে যথাক্রমে ৩-০ এবং ২-১ গোলে। সার্বিকভাবে লীগের হেড টু হেডেও এগিয়ে আছে আকাশী-হলুদরা। পেশাদার লীগ চালু হবার পর এ পর্যন্ত দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ২১ বার। এতে আবাহনী জিতেছে ৯ বার, মোহামেডান ৪ বার। বাকি ৮ ম্যাচ ড্র হয়। গোলের বেলাতেও এগিয়ে আবাহনী। তাদের ২০ গোলের বিপরীতে মোহামেডান করেছে ১৩টি। বুধবার খেলা শুরুর আগে রেফারি আজাদ রহমানকে মাঠে বিদায় সংর্বধনা দেয়া হয়। এই ম্যাচে অবশ্য আজাদ রেফারি না থাকলেও মাঠে আসেন রেফারির পোশাক পরেই। বাফুফের অফিসিয়াল, দুই দলের ফুটবলার, বিভিন্ন ক্লাবের কোচ এবং সমর্থকরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করে। এ সময় আজাদের পাশে ছিলেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা। ২০০১ সালে রেফারি হিসেবে অভিষেক হয় আজাদের। দেশে-বিদেশে আর ছোট-বড় মিলিয়ে ৩ হাজারের মতো ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছেন সাবেক এ এলিট রেফারি। ১২টি মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচে বাঁশি বাজিয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী আজাদ। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে খেলেছিলেন ফরাসী কিংবদন্তি ফুটবলার জিনেদিন জিদান। ওই ম্যাচটিও পরিচলনা করেছিলেন তিনি। ৪৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় আবাহনী। মোহামেডানের ডিফেন্ডার আসাদুজ্জামান বাবলু ফাউল করে নিজেদের বক্সে ফেলে দেন আবাহনীর সানডেকে। রেফারি মিজানুর রহমান বাবলুকে হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টিরও নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে ঠা-া মাথায় গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে নেন নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে। ৫৮ মিনিটে নিজেদের বক্সে হ্যান্ডবল করে আবাহনীর সর্বনাশ ডেকে আনেন ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী। পেনাল্টি পায় সাদা-কালোরা। কিন্তু নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার স্যামসন ইলিয়াসুর গড়ানো শট পোস্টের বাইরে চলে গেলে উল্লাসে ফেটে পড়ে আবাহনী। ৭১ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ জীবনের মাপা উঁচু ক্রসে দারুণ হেডে নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন সানডে। লীগে এটা তার তৃতীয় গোল। প্রথম লেগে তিনি ছিলেন না। ওই সময়টায় ব্যস্ত ছিলেন কলকাতার একটি ক্লাবে লীগ খেলায়। সহজ জয়ে শীর্ষেই চট্টগ্রাম আবাহনী ॥ দিনের প্রথম ম্যাচে জিতেছে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। তারা ২-০ গোলে হারায় টিম বিজেএমসিকে। ১৪ ম্যাচে চট্টলার দলটির এটা একাদশ জয়। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে তারা। অন্যদিকে সমান ম্যাচে এটা ‘সোনালী আঁশের দল’ খ্যাত বিজেএমসির ষষ্ঠ হার। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আগের সপ্তম স্থানে (১২ দলের মধ্যে) রয়েছে তারা। ৩১ মিনিটে বক্সের খুব কাছেই বাঁপ্রান্তে ফ্রি কিক পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। দলীয় অধিনায়ক জাহিদ হোসেনের ডান পায়ের ক্রস থেকে বক্সে লাফিয়ে উঠে হেডে দর্শনীয় এক গোল আদায় করে নেন নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার এ্যালিসন উদুকা (১-০)। ইনজুরি টাইমের শুরুতেই গোল করে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন বদলি ফরোয়ার্ড জাফর ইকবাল। মোহাম্মদ আবদুল্লাহর কর্নার থেকে লাফিয়ে উঠে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড (২-০)। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ফেরা হয়নি বিজেএমসির।
×