অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী এক মাসের মধ্যে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই। এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকার শ্যামবাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, দেশী পেঁয়াজের উৎপাদন কম হওয়ার পাশাপাশি, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারী বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ের ওপরও জোর দেন তিনি।
কয়েকমাস ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশে পেঁয়াজের বাজারে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সোমবার থেকে আবারও অস্থির হতে থাকে মসলাজাতীয় এ পণ্য। দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে পণ্যটির দাম প্রতি কেজিতে বাড়ে চার থেকে পাঁচ টাকা। আর একদিনের ব্যবধানে কাওরান বাজারে এটি কেজিতে বেড়েছে প্রায় দুই টাকা।
বর্তমানে শ্যামবাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায় আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর কাওরানবাজারের খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। আবারও নতুন করে পেঁয়াজ রফতানিতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত সরকার।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, রফতানির ক্ষেত্রে প্রতি টন পেঁয়াজের দাম ৭ থেকে ৮শ’ ডলার রাখতে হবে। দেশটির রফতানিকারকরা জানান, রফতানির জন্য প্রক্রিয়াজাত পেঁয়াজের কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ দাম রাখা হচ্ছে ৪৯ রুপী বা ৬১ টাকা। এমন পরিস্থিতিতে আগামী একমাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমার কোন সুখবর দিতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, দেশীয় উৎপাদন ও বিদেশের আমদানি বাড়ানো না গেলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে রাজ্যভেদে খুচরা দাম রাখা হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ রুপী। তবে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৯ রুপীতে।
