ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাজ্যের পণ্য পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি দুই বছরেও

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

যুক্তরাজ্যের পণ্য পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি দুই বছরেও

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও আকাশপথে যুক্তরাজ্যে সরাসরি পণ্য পরিবহনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়নি দুই বছরেও। এ সময়ে শত কোটি টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে বাংলাদেশ বিমানকে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের চাহিদা অনুসারে, এই প্রথম শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যৌথভাবে পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাজ্যের পরিবহন বিভাগ ও বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। ২৩ নবেম্বর শুরু হবে এই কার্যক্রম। বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রীর প্রত্যাশা, সব শর্ত পূরণ করায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে এবার। নিরাপত্তা ঘাটতির কারণ দেখিয়ে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাজ্য এবং একই বছর জুনে জার্মানি বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে সরাসরি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয়। সবশেষে গেল জুনে বাংলাদেশী কার্গোকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সরাসরি পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাদের দেয়া শর্ত পূরণে ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের রেডলাইন এভিয়েশনকে নিয়োগ ও ইডিএস মেশিন স্থাপনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে সম্প্রতি তা দেখে গেছে ইইউর নিরপেক্ষ তদন্ত দল। এবার আসছে যুক্তরাজ্য। বিমানমন্ত্রীর দাবি, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিলেও একের পর এক নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে তারা। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, আমরা ইতোমধ্যে জাইকার অর্থায়নে ইডিএস নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। ২৩ তারিখ থেকে এধরনের সেবা শুরু হবে। ইডিএস বসানোর পর সৌদি এয়ারলাইন্স সরাসরি পণ্য পরিবহন শুরু করলেও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে পারছে না ইউরোপগামী বাকি এয়ারলাইন্স। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, সৌদিকে ছাড়পত্র নিতে হয় ব্রাসেলস থেকে। কিন্তু অন্যদের ছাড়পত্র নিতে হয় ইউকে থেকে। ইউকে আমাদের ছাড়পত্র দিচ্ছে না। ওদের টিমটা এলে এটা ওপেন হয়ে যাবে। নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে কার্গো পরিবহন খাতে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার আশা করছে বাংলাদেশ বিমান। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে ২৭ নবেম্বর পর্যন্ত চলবে দুটি সংস্থার যৌথ পরিদর্শন কার্যক্রম।
×