ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেফতার হওয়ার পর হাসপাতালে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

গ্রেফতার হওয়ার পর হাসপাতালে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর হাজারীবাগে গ্রেফতার হওয়া চামড়া ব্যবসায়ী শাহ আলম (৬৫) আদালতে অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ পুলিশের নির্যাতনের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের ভাগ্নে মানিক ও ভাতিজা লিটন অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ১৯ নবেম্বর রাতে চামড়া ব্যবসায়ী এম এ রহমান গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় এম এ রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে হাজারীবাগ থানায় শাহ আলম ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়। এরপর পুলিশ ১৯ নবেম্বর রাতে ৮/২ টালি অফিস হাজারীবাগের বাসার চতুর্থ তলা থেকে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে এবং ভাতিজাসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বাসা থেকে আটকের পরই পুলিশ তাদের পেটাতে পেটাতে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের নির্যাতনে শাহ আলম অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মঙ্গলবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কাঠগড়ায় শাহ আলম অসুস্থ হয়ে পড়লে বিচারক তাকে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরপর প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে বিকেল সোয়া ৫টায় পুলিশ তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাগিনা মানিক অভিযোগ করে বলেন,এম এ রহমান লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জের বাসিন্দা। তার সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে এম এ রহমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার মামলায় শাহ আলম ও তার স্বজনদের জড়িয়ে দেয়া হয়। ১৯ নবেম্বর রাতে হাজারীবাগ থানা পুলিশ ব্যবসায়ী শাহ আলম ও তার দুই ছেলে ওসমান গনি, মুরাদ এবং দুই ভাতিজা রিয়াদ ও সোহাগকে আটক করে। পরদিন তাদের আদালতে হাজির না করে থানায় আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হয়।
×