ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘোড়ামারা আজিজের ফাঁসির আদেশে গাইবান্ধায় আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

ঘোড়ামারা আজিজের ফাঁসির আদেশে গাইবান্ধায় আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২২ নবেম্বর ॥ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বুধবার সুন্দরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা ৭১’র যুদ্ধাপরাধী আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ৬ আসামির ফাঁসির আদেশে সুন্দরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। সুন্দরগঞ্জ ও গাইবান্ধায় তাৎক্ষণিক মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল বের করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ এসব আনন্দ র‌্যালিতে অংশ নেন। র‌্যালি শেষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ে আব্দুল আজিজসহ অন্য যে ৫ জনের ফাঁসির আদেশ হয়েছে তারা হলেন- মোঃ রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মোঃ আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মোঃ নাজমুল হুদা (৬০) ও মোঃ আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। আসামিরা সকলেই পলাতক। একমাত্র আব্দুল লতিফ জেলহাজতে আটক রয়েছে। ফাঁসির এই রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, মামলার সাক্ষী ধর্মপুর ও মজুমদার গ্রামের আব্দুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, রাজা মিয়া এবং সুন্দরগঞ্জের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমদাদুল হক বাবলু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুল হক। তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর আওয়ামী লীগ নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগেই এই স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। এই রায়ে তারা অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত। সেই সঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করে এই ফাঁসির আদেশ যাতে অবিলম্বে কার্যকর করা হয় তারও দাবি জানান তারা। পাশাপাশি এই মামলার সাক্ষী ও নিহতের পরিবার-পরিজনদের জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীচক্রের হামলার হাত থেকে নিরাপত্তা বিধানেরও দাবি জানানো হয়। গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোঃ মাশরুকুর রহমান খালেদ এই মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ভয়ের কোন কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশকে তাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এই মামলার রায়কে কেন্দ্র করে কোন দুষ্টচক্র যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে জননিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে।
×