ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের রিপোর্ট

উঃ কোরিয়ার ম্যালওয়ের বহু নেটওয়ার্কে গোপনে সক্রিয়

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৩ নভেম্বর ২০১৭

উঃ কোরিয়ার ম্যালওয়ের বহু নেটওয়ার্কে গোপনে সক্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর কোরিয়ার তৈরি করা ম্যালওয়ের এখন বহু কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মধ্যে গোপনে সক্রিয় আছে। এর ফলে সরকারী, আর্থিক, স্বায়ত্তশাসিত ও গণমাধ্যমগুলোতে হ্যাকাররা সহজেই হানা দিতে পারে। গার্ডিয়ান। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি (ডিএইচএস) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘হিডেন কোবরা’ নামে একটি হ্যাকার গ্রুপ গোপনে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রুপটি ‘ল্যাজারাস’ নামেও পরিচিত। চলতি বছর আরও আগের দিকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ২০০৯ সাল থেকেই পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যুক্ত অনেকগুলো গ্রুপ হ্যাকিং চালিয়ে এসেছে। ডিএইচএস কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সার্ট) মঙ্গলবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটানোর আশায় হ্যাকাররা এখনও আগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নেটওয়ার্কগুলোতে নিজেদের উপস্থিতি বজায় রেখেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কিছু এর মধ্যে ভলগ্মের, ব্যাকডোর ট্রোজান বা ফলচিলের মতো ম্যালওয়ারে আক্রান্ত হয়েছে। এর ফলে পুরো নেটওয়ার্ক সিস্টেম হ্যাকারদের নাগালের মধ্যে চলে যাচ্ছে। এফবিআইয়ের তদন্তে দেখা গেছে, ফলচিল ম্যালওয়ের ২০১৬ সাল এবং ভলগ্মের ২০১৬ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিশ্লেষকদের মতে হিডেন কোবরা গ্রুপটি আসলে ল্যাজারাস হ্যাকারদেরই গ্রুপ। এদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার যোগসূত্র রয়েছে। সাইবার চুরির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ব্যাংক থেকে কোটি কোটি ডলার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। চলতি বছর আরও আগের দিকে ওয়ানাক্রাই নামে যে র‌্যানসমওয়ের বিভিন্ন দেশের কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে তার পেছনে ল্যাজারাস গ্রুপের হাত ছিল বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। গ্রুপটি ২০০৯ সাল থেকে সক্রিয় রয়েছে বলে জুনে প্রকাশিত ডিএইচএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল। এদের কাজের ধরন বিভিন্ন রকমের। অনেক ক্ষেত্রে এরা তথ্য চুরি করে নেয়। কোন কোন ক্ষেত্রে কেবল নেটওয়ার্কিংয়ে সমস্যা করে। ডিএইচ এবং এফবিআইয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া সরকারের সামরিক ও কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ হওয়ায় গ্রুপগুলো কর্তৃপক্ষের সব ধরনের সহযোগিতা পেয়ে থাকে।
×