ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘আদিবাসীদের উন্নয়নে আলাদা জাজেট দরকারে’

প্রকাশিত: ০২:৪১, ২২ নভেম্বর ২০১৭

 ‘আদিবাসীদের উন্নয়নে আলাদা জাজেট দরকারে’

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ আলাদা বাজেট ছাড়া সমতলের আদিবাসীদের উন্নয়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় কমিটি ককাসের সভাপতি ফজলে হোসেন বাদশা এমপি। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীদের উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের মূলধারা থেকে দেশের সমতলের আদিবাসীরা বঞ্চিত। বাদশা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক একটা মন্ত্রণালয় আছে এবং দেশের বিধানে মন্ত্রণালয় ভিত্তিতে বাজেট ভাগ করা হয়। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বাজেট পাচ্ছে। এতে পাহাড়ের আদিবাসীদের উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু সমতলের আদিবাসীরা বাজেট পাচ্ছে না। তাই তারা পিছিয়ে পড়ছে। বুধবার নেটওয়ার্ক অব নন মেইনষ্ট্রিম মারজিনালইজড কমিউনিটিস (এনএনএমসি) ফাউন্ডেশনের ‘নেটওয়ার্কিং ফর ইনক্লুশান অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট অব দলিত’স অ্যান্ড নৃতাত্ত্বিক ইন দি নর্থ-ওয়েস্ট অব বাংলাদেশ’ প্রকল্প বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমাদের একটা প্রস্তাব ছিল- পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশেষ একটা বিভাগ করে সমতলের আদিবাসীদের জন্য বাজেট দেয়া হোক। এটা বলতে বলতে আমাদের গলার রগ সব ছিড়ে গেছে। কিন্তু সরকারের কানে এটা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এই বাজেটের আগের বাজেটে আমরা সমতলের আদিবাসীদের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিলাম এবং এটা নিয়ে একটা স্পেশাল মিটিং হয়েছিল। সেই স্পেশাল মিটিংয়ে আমাদের অর্থমন্ত্রী বললেন, সমতলে আদিবাসী আছে নাকি! আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ আছে এবং পাবর্ত্য চট্টগ্রামে যত আদিবাসী বসবাস করে, তার চেয়েও ১০ লাখ বেশি। বাদশা বলেন, এখন আদিবাসীদের সংগঠন বেশি হয়ে গেছে। এর কারণ হচ্ছে- এখন একটা কমিটি করে যে কোনো নাম দিয়ে বিদেশীদের কাছে চিঠি লিখলে ফান্ড আসে। বিদেশী ফান্ডিংয়ে অর্গানাইজাশন, এটা আদিবাসীদের আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাড়ি বাড়ি ধান তা বিক্রির টাকা দিয়ে যেভাবে সংগঠন করা যায়, সেভাবে সংগঠন করতে হবে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত আন্দোলন করতে হবে। সে আন্দোলন পৃথক বাজেটের জন্য। কারণ, অর্থমন্ত্রীকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর পরও তিনি এ সমস্ত বিষয় শুনতে চান না। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে যদি আলাদা বিশেষ বিভাগ করা যায়, তাহলে সমতলের আদিবাসীরা টাকা পাবেন, তা না হলে এক পয়সাও পাবেন না। রাজশাহী শহরের একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলনকক্ষে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে এনএনএমসি। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. আদিল হাসান রশিদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. দেওয়ান মো. শাহরিয়ার ফিরোজ এবং রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ।
×