ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গীতে বাসে নতুন স্টাইলে ছিনতাই ॥ অসহায় যাত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২২ নভেম্বর ২০১৭

টঙ্গীতে বাসে নতুন স্টাইলে ছিনতাই ॥ অসহায় যাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ২১ নবেম্বর ॥ টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসগুলোতে দু’একজন যাত্রীকে জিম্মি করে অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল। এদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ যাত্রীরা বাসে চলাচলে অসহায় হয়ে পড়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে এ রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীরা এই অভিনব ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন। যাত্রীরা চরম আতঙ্ক নিয়ে চলতি পথে গন্তব্যে পৌঁছছেন বলে তারা জানান। গত ১৬ নবেম্বর ঢাকা থেকে গাজীপুরগামী একটি বসুমতি বাসের যাত্রী আজিজুল হক স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ৫/৭ জনের একটি ছিনতাইকারী দল টঙ্গীর গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড থেকে সিটিং সার্ভিস বাসটিতে জোরপূর্বক উঠে পড়ে। সিট খালি না থাকায় তারা দাঁড়িয়ে থাকে। গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই ছিনতাইকারী দল এক যাত্রীর উপর চড়াও হয় এবং বলতে থাকে ‘এই তুই আমার বোনকে ফেলে রেখে এসে আরেকটি বিয়ে করেছিস, লুইচ্চার বাচ্চা লুইচ্চা, তোকে আজ হাতে পেয়েছি।’ ঠিক এমন সময় দলের অন্য সদস্যরা ওই লোকটির প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল এবং মানিব্যাগটি নিয়ে নেয়। এ সময় বাসের অন্য যাত্রীরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তারা ছুরি বের করে সবাইকে চুপ থাকতে বলে এবং বলতে থাকে আপনাদের বোনদের যদি এমন অবস্থা হতো, তাহলে আপনারা কি এদের ছেড়ে দিতেন? ঠিক এ সময় বাসের সব যাত্রী চুপ হয়ে যান। ঘটনা ঘটিয়ে ছিনতাইকারীদল নির্বিঘেœ তারগাছ বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি এসে নেমে পড়ে। তখন ছিনতাই হওয়া ওই যাত্রী কান্নাকাটি শুরু করে এবং ঘটনাটি মিথ্যা বলে অন্য যাত্রীদের জানালে তখন সবাই বুঝতে পারে অভিনব কায়দায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বসুমতি সিটিং সার্ভিসের ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৭৭৯১ বাসটি জয়দেবপুর চৌরাস্তা পৌঁছলে যাত্রীরা চালক ও গাড়ির সহকারীদের আটক করে ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ করে। এ সময় চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অন্য পরিবহন শ্রমিকরা ওই বাসের চালক ও সহকারীকে বাসসহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এসময় পরিবহন শ্রমিকরা জানান, আমাদের বাসের কোন স্টাফ এসব ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। যদি ছিনতাই হয়ে থাকে তাহলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে বলেন পরিবহন শ্রমিকরা।
×