ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২ গেটের মধ্যে মাত্র ৪টিতে স্ক্যানিং মেশিন

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২২ নভেম্বর ২০১৭

চট্টগ্রাম বন্দরে ১২ গেটের মধ্যে মাত্র ৪টিতে স্ক্যানিং মেশিন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মাদকদ্রব্য ও কোকেন জব্দ, দুই দফায় উচ্চমাত্রাসম্পন্ন তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত ও হরহামেশা রাজস্ব ফাঁকির ঘটনার পরও চট্টগ্রাম বন্দরের সবগুলো গেটে এখনও বসানো হয়নি কন্টেনার স্ক্যানিং মেশিন। বাধ্যতামূলক হলেও ১২টি গেটের মধ্যে স্ক্যানিং মেশিন আছে মাত্র চারটিতে। এতে বড় ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে অর্থনীতির চালিকাশক্তি এ বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। চট্টগ্রাম বন্দরকে বলা হয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বর্ণদ্বার। সেই বন্দরের দ্বারগুলো আসলে কতটুকু ঝুঁকিমুক্ত? ২০১৫ সালের ৬ জুন বলিভিয়া থেকে আসা দুই হাজার কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য কোকেনবাহী কন্টেনার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল তেজস্ক্রিয় পদার্থযুক্ত ইস্পাতের টুকরা এবং ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট আবারও চীন থেকে আসা কন্টেনারে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থ পাওয়া যায় বন্দরে। এতকিছুর পরও বন্দরের সবগুলো গেটে নিশ্চিত করা যায়নি স্ক্যানিং মেশিন। চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘কন্টেনার আসার সঙ্গে সঙ্গে যদি স্ক্যান করে প্রতিবেদন পাওয়া যেত তবে দ্রুত পণ্য খালাস হতো।’ বন্দরের ১২টি গেটের মধ্যে স্ক্যানিং মেশিন আছে মাত্র চারটিতে। এতে মালামাল খালাসে ভোগান্তির পাশাপাশি নানা জটিলতায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘প্রতিটি গেটে আধুনিক স্ক্যানার বসাতে হবে। স্ক্যানারের অভাবে পণ্য এক সপ্তাহ পড়ে থাকবে এটা কেমন কথা?’ ২০১৬ সালে একটি স্ক্যানিং বিভাগ চালুর উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি। যে চারটি গেটে মেশিন আছে তার অধিকাংশের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে ২০১৮ সালে। তবে প্রতিটি গেটে স্ক্যানার বাড়ানোর কথা জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘অনেক সময় স্ক্যানার খারাপ থাকে, ভেতরে এ কারণে জট সৃষ্টি হয়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সহযোগিতা করছে।’ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে এ বন্দর দিয়ে গত কয়েক বছরে ২২ থেকে ২৪ লাখ টিইউইএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে।
×