ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রূপালী ব্যাংক এমডির বিষয়ে দুদকের চিঠির জবাব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়

প্রকাশিত: ০৫:২২, ২২ নভেম্বর ২০১৭

রূপালী ব্যাংক এমডির বিষয়ে দুদকের চিঠির জবাব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোঃ আতাউর রহমান প্রধানের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠির জবাব দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডের (এসবিইউকে) বাইরে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালনকালে আতাউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এসবিইউকের সাবেক প্রধান নির্বাহী মোঃ আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল দুদক। জবাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মোঃ রিজওয়ানুল হুদা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যেকোন ব্যাংক কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক সার্বিক দিক বিবেচনা করে এ অনুমোদন দিয়ে থাকে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যোগ্য বিবেচনায় আতাউর রহমান প্রধানকে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডে দায়িত্ব পালন ছাড়াও আতাউর রহমান প্রধান বাংলাদেশে ৩০ বছরের বেশি দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ এ দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয়নি। এসবিইউকের ওই ঘটনায় আতাউর রহমান প্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে জরিমানার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, ধার্যকৃত ৭০ হাজার পাউন্ড জরিমানার বিরুদ্ধে তিনি রেগুলেটরি ডিসিশন্স কমিটিতে (আরডিসি) আপীল দায়ের করেছেন। ওই আপীল এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। আরডিসিতে আপীল নিষ্পত্তির পরও আরও উর্ধতন দুটি পর্যায়ে আপীল দায়েরের সুযোগ রয়েছে। ফলে আতাউর রহমান প্রধান এখনো দোষী সাব্যস্ত হননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে কোন ধরনের শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে যেসব কর্মকর্তার কারণে এসবিইউকেকে জরিমানা গুনতে হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। দুদকের চিঠির জবাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ তাদের চিঠিতে উল্লেখ করেছে, যেসব কর্মকর্তার অনিয়মের কারণে এ জরিমানা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মানি লন্ডারিং রিপোর্টিং অফিসার স্টিভেন স্মিথকে চিহ্নিত করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
×