ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ২২ নভেম্বর ২০১৭

পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত কয়েক বছরে পাট চাষে প্রায় তিন লাখ একরের বেশি জমির ব্যবহার বেড়েছে। পাট অধিদফতর জানায়, সঠিক বাজারমূল্য পাওয়ায় কৃষক পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তবে এসব জমিতে পাট চাষ অব্যাহত থাকলে ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। চাহিদা পূরণে উপকূলীয় ১০ জেলায় পতিত পড়ে থাকা প্রায় আড়াই লাখ হেক্টর জমিতে লবণসহিষ্ণু পাট চাষের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির হার আশানুরূপ না হলেও অভ্যন্তরীণ বাজারে পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ায় কয়েক বছর ধরে পাট উৎপাদনে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে উৎপাদন এবং রোগবালাই কম হওয়ায় পাট চাষের হার বাড়ছে। পাট অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০১০-১১ অর্থবছরে কাঁচা পাট উৎপাদন হয় ৭৮ লাখ বেল। সাত বছরের ব্যবধানে উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১০ লাখ বেল। পাটপণ্যের ন্যায্যমূল্য বাজারে স্থিতিশীল থাকায় কৃষক পর্যায়ে পাট চাষে উৎসাহ বাড়ছে বলে মনে করেন পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘কৃষক যখন ন্যায্যমূল্য পাবে তখন সে পাট চাষে উৎসাহ পাবে।’ এদিকে প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তনে নানা দুর্যোগে কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ধান উৎপাদন। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় তিন বছরে পাট চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ায় জমির ব্যবহার বেড়েছে প্রায় তিন লাখ একর। এসব জমিতে পাট চাষ অব্যাহত থাকলে ধান উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, ফসলের উৎপাদন হার ঠিক রাখতে ও জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সম্প্রতি পরীক্ষণ চালানো লবণসহিষ্ণু পাটের চারটি জাত দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চাষের উপযোগী করতে হবে। পাট চাষে জমি সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি পাটের ন্যায্যমূল্যের স্থিতিশীলতা ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
×