ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুই হাতে লিখে

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২২ নভেম্বর ২০১৭

যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা দুই হাতে লিখে

জন্মগতভাবেই মানুষ দুই হাতে সমান শক্তি ধারণ করে না। ফলে লেখালেখি বা যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে মানুষ তার এক হাত অন্য হাতের চেয়ে একটু বেশি ব্যবহার করে। তবে কিছু মানুষ রয়েছে যারা জন্মগতভাবে উভয় হাতেই সমান শক্তি ধারণ করে। এদের ‘সব্যসাচী’ বলা হয়। খুব বেশিসংখ্যক মানুষ যে সব্যসাচী হয় তা কিন্তু নয়। তবে ভারতের বীণা বন্দীনি বিদ্যালয়ে গেলে এই ধারণার পরিবর্তন দেখা যাবে কারণ মধ্যপ্রদেশের এই স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থী উভয় হাতে সমানভাবে লিখতে পারদর্শী। একেবারে জন্মগতভাবেই যে এই স্কুলের সকল শিক্ষার্থী সব্যসাচী তা কিন্তু নয়। এদের নার্সারি থেকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সব্যসাচী করে গড়ে তোলা হয়েছে। আর এই কঠিন কাজটি যার একান্ত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে তিনি স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা ভিপি শর্মা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক এই সৈনিক অবসর গ্রহণের পর ১৯৯৯ সালে নিজ গ্রামে একটি স্কুল গড়ে তোলেন। প্রথম থেকেই তিনি স্কুলের সকল শিক্ষার্থী যেন উভয় হাতে লিখতে পারদর্শী হয় সে বিষয়ের ওপর জোর দেন। ফলে স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন প্রতি ক্লাসের ফাঁকে অন্তত পনেরো মিনিট উভয় হাতে লেখার চর্চা করতে হয়। এভাবে চর্চার ফলে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীই নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াকালীন উভয় হাতে লেখার কৌশল অর্জন করে ফেলে। কিন্তু কেন এই অভিনব উদ্যোগ? স্থানীয় এক দৈনিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভিপি শর্মা বলেন, ‘একটি ম্যাগাজিনে পড়েছিলাম, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ সব্যসাচী ছিলেন। তিনি উভয় হাতে সমান পারদর্শী ছিলেন। মূলত এই বিষয়টি জানার পর আমি স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই শিক্ষার্থীদের উভয় হাতে লেখা শেখার ওপর জোর দিই।’ -ইয়াহু নিউজ
×