ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে ছায়েদুল মাছ-মাংসের উৎপাদন বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ২১ নভেম্বর ২০১৭

সংসদে ছায়েদুল মাছ-মাংসের উৎপাদন বাড়ছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। দেশের সব মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে বাড়াতে চায় মাছ-মাংস উৎপাদনও। সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে মন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের গত আট বছরে মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির চিত্রও তুলে ধরেছেন। আবদুল লতিফ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশে একটি ডেইরি বোর্ড প্রতিষ্ঠাসহ নীতি সহায়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এ লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, মৎস্য সম্পদ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে মৎস্য অধিদফতরের আওতায় ১৮ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মাছ উৎপাদন বাড়াতে চার বছর (২০১৫-১৯) মেয়াদী প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে ৪৩ জেলার ১৭৫টি পুকুর/দীঘি, ৩২টি খাল/বিল পুনর্খনন করে চাষের উপযোগী করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ পেয়েছে তিন হাজার ২৭৫ সুফলভোগী। এ ছাড়া সংস্কারকৃত জলাশয়ে দুই শ’ পাইপ কালভার্ট স্থাপন করা হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে সরকারী পর্যায়ের ৮৪টি হ্যাচারির সুবিধাসহ ১৩৬টি মৎস্যবীজ উৎপাদন খামার এবং বেসরকারী পর্যায়ের ৯৫২টি মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে। সরকারী ব্যবস্থাপনায় পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা ৪৫টি এবং বেসরকারী রেজিস্টার্ড পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬২৭টি। সরকারী ব্যবস্থাপনায় ডেইরি খামারের সংখ্যা আটটি এবং বেসরকারী রেজিস্টার্ড ডেইরি খামারের সংখ্যা ৫৮ হাজার ৪৪৯টি। মন্ত্রী জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের মাংসের প্রাপ্যতা ছিল জনপ্রতি বছরে ৩২ দশমিক ৪৫টি, বিগত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে জনপ্রতি বছরে ৯২ দশমিক ৭৫ গ্রাম। মাংসের চাহিদা পূরণে মুরগির পাশাপাশি হাঁস উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রকল্পের কাজ চলছে। দেশের সকল মানুষের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণ ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির উল্লেখ করে বলেন, প্রাণিজ আমিষের সরবরাহ বেড়েছে। এ সময় তিনি চিংড়ির ও ইলিশ উৎপাদনের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন।
×