ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

১৭ দিনে এসেছে ,৬৮ কোটি ,১৫ লাখ ডলার

রেমিটেন্স প্রবাহে গতি আসছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২১ নভেম্বর ২০১৭

রেমিটেন্স প্রবাহে গতি আসছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফের দ্রুতগতিতে বাড়ছে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিটেন্স। নবেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনেই ৬৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যে গতিতে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন, তাতে নবেম্বর মাস শেষে ১৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। যদিও দুই মাস আগেও রেমিটেন্স নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মাস হিসাবে বিগত সাড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। অবশ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগের ফলে গত অক্টোবর মাসে ১১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠান প্রবাসীরা, যা গত সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে ৩০ কোটি ৩০ লাখ ডলার বেশি। আর ২০১৬ সালের অক্টোবরের চেয়ে ১৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার বেশি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘প্রবাসী আয় বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জনগণও বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছে, এরই প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গত জুলাই মাস থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে পাঠানো রেমিটেন্স আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ শতাংশ বেড়েছে। আশা করা যায়, আগামীতে প্রবাসী আয় আরও বাড়বে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ থেকে ৩ নবেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৮ কোটি ডলার। ৪ থেকে ১০ নবেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৩১ কোটি ২৪ লাখ ডলার আর ১১ থেকে ১৭ নবেম্বর পর্যন্ত সময়ে পাঠিয়েছেন ২৮ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। সব মিলিয়ে ১ থেকে ১৭ নবেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন ৬৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার ফলে প্রবাসী আয় বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়াতে হবে। অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নামে হুন্ডি ঠেকানো সম্ভব হলে প্রবাসী আয় আরও বাড়বে। এজন্য নানামুখী উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।’ এর আগে রেমিটেন্স বাড়াতে মাসুল না নেয়াসহ নানা ঘোষণাও দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রবাসীদের জন্য বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অবৈধ মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধে কঠোর অবস্থান নেয়।
×