ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কম্বলে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সোনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২১ নভেম্বর ২০১৭

কম্বলে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সোনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হাতে শুধু একটা কম্বল দেখে যাত্রীকে প্রায় ছেড়েই দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কি মনে করে তাকে আবার একটু সন্দেহ হলো। তাতেই মওকা মিলে যায়। স্ক্যানারে ঢুকাতেই ভেসে ওঠে অনেকগুলো সোনার বার। একটা দুটো নয়-৫৮টি সোনার বার। ব্যস আর যায় কোথায় ? হাতেনাতে আটক করা হয় যাত্রী আলমকে। এ ঘটনা সোমবার সকালের। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫৮ পিস সোনার বারসহ আলম নামে এই যাত্রীকে আটক করে ঢাকা কাস্টম হাউস। সোমবার সকালে তাকে বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা সোনার ওজন ৬ কেজি ৭০০ গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার সাইদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান- বাহরাইন হতে গালফ এয়ারের ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন আলম। তিনি খুব স্বাভাবিক গতিতেই হেঁটে যাচ্ছিলেন। তারপরও গ্রীন চ্যানেলে তাকে স্বর্ণবহনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা অস্বীকার করেন। এ সময় তাকে চলে যেতে দেয়া হয়। কিন্তু কি মনে করে তাকে আবার একটু সন্দেহ হয়। তখন তাকে বলা হয়-কম্বলটা স্ক্যানারে দেয়ার জন্য। তাতে ইতস্তত আলম। ইচ্ছার বিরুদ্ধেই তিনি ধীরগতিতে দিয়ে দেন স্ক্যানারে। তাতেই ভেসে ওঠে ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র বিস্কুট। পরে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগেজ স্ক্যান করে কম্বলের ভিতর থেকে ৫৮ পিস স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় আলম জানিয়েছেন পেশায় তিনি একজন কন্সট্রাকশন শ্রমিক। তার বন্ধু হায়দার তাকে কম্বলটা দেয়। হায়দারের বাহরাইনে সাইকেল মেরামতের দোকান আছে। আটক আলমের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরপূর্বক থানায় সোপর্দ করা হবে। কাস্টমস সূত্র জানায়- আলম একজন সাধারণ প্রবাসী শ্রমিক। এ সোনার মালিক তিনি নন। তাকে একজন ক্যারিয়ার হিসেবে হয়ত ব্যবহার করা হয়েছে। বন্ধু হায়দারই হচ্ছে মূল ক্রিমিনাল। এখন সোনা পাচার হচ্ছে এই কৌশলেই। এ জন্য কাস্টমসকে অনেক বেশি যাত্রী সন্দেহের আওতায় ব্যাগেজ চেক করা হচ্ছে। তাতে গ্রীন চ্যানেলে প্রায়ই যাত্রীর জটলা লেগে যায়।
×