ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্মরণানুষ্ঠান

মৌলবাদের বিরুদ্ধে আপোসহীন ছিলেন সুফিয়া কামাল

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২১ নভেম্বর ২০১৭

মৌলবাদের বিরুদ্ধে আপোসহীন ছিলেন সুফিয়া কামাল

জননী সাহসিকা কবি সুফিয়া কামালের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল সোমবার। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকারের সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে পথিকৃতের ভূমিকা ছিল সুফিয়া কামালের। স্বাধীন বাংলাদেশে নারী জাগরণ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপোষহীন। সোমবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে ৭২টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্লাটফর্ম সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি এ স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করে। ‘মানবতার সঙ্কট এবং নারী ও শিশুর প্রতি অব্যাহত সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণ সভার শুরুতেই কবির প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সভায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঙ্গীতশিল্পী শারমিন সাথী ইসলাম। মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক মাহফুজুল বারী, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন, জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন, প্রিপ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক এ্যারমা দত্ত, স্টেপস টুওয়ার্ডস ডেভলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি এমপি হাজেরা সুলাতানা, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম, এ্যাডাবের পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন ও আদিবাসী নেটওয়ার্কের সভাপতি চঞ্চনা চাকমা। সভায় প্রস্তাব পাঠ করেন ব্র্যাকের সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট কাজী শাহানা। সভায় কবি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কবি কন্যা সাইদা কামাল, এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল উপস্থিত ছিলেন। আয়শা খানম বলেন, সুফিয়া কামাল জাতীয়, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, সামাজিক, ছাত্র আন্দোলনে সমগ্র বিষয়কে একত্রিত করে আন্দোলন করেছেন। আজ সময় এসেছে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। সুফিয়া কামালের সময় নারীরা ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিল। আজও নারীরা বের হয়ে আসছে। নারীরা সব পারে কিন্তু তাদের সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন যারা সরকারের ভিতরে থাকবে এবং যারা সরকারের বাইরে থাকবে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। আন্দোলনের মাঝে মৌলিক সমন্বয় না থাকলে নারীরা এগিয়ে যেতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। অন্যান্য বক্তারা বলেন, সুফিয়া কামাল স্বপ্ন দেখেছিলেন এমন একটি রাষ্ট্রের যেখানে নারী-পুরুষের কোন বৈষম্য থাকবে না। তিনি চেয়েছিলেন অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, নির্যাতনমুক্ত এবং ন্যায়ভিত্তিক একটি বাংলাদেশ; যেখানে সকলে সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে। কিন্তু আজ আমরা দেখছি বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত মানবতার লঙ্ঘন হচ্ছে।
×