সাতক্ষীরায় মোবাইলে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে জবাই করে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার রাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কৈখালি গ্রামের হাওড়া নদীর বেড়িবাঁধের ওপর এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম ছলেমান গাজী (৪৫)। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ঝায়ামারি গ্রামের মৃত মোকছেদ গাজীর ছেলে। ঝায়ামারি গ্রামের আব্দুর রশীদ জানান, রবিবার রাত ৮টার দিকে ছলেমান ও তিনিসহ কয়েকজন শোভনালী বাজারে সাহেব আলীর দোকানে ক্যারম খেলছিলেন। এ সময় একটি মোবাইল থেকে কল আসায় তড়িঘড়ি করে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। রাত প্রায় ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ছলেমানকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে সোমবার ভোরে কৈখালি পানির ট্যাঙ্কি থেকে ১০০ হাত দূরে তার জবাই করা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। নিহতের স্ত্রী আয়েশা খাতুন জানান, তার স্বামী ছলেমান গাজী ১৯৯৮ সালে কালীগঞ্জের বাবুরাবাদে ভূমিহীন আন্দোলনের সময় থেকে ঝায়ামারিতে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কালীগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কয়েক বছর আগে দেবহাটা উপজেলার দেবীশহর সোসাইটির ঝায়ামারির বিলের ১০৭ বিঘা জমি মনোরঞ্জন মুখার্জীর কাছ থেকে কেনেন বসুখালির অমেদ আলী, তার স্বামী ছলেমান, আব্দুর রশীদ, ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন। এ নিয়ে ঝায়ামারি এলাকার ওহাব আলী পেয়াদার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। দুই বছর আগে দেওয়ানি মামলায় হেরে যাওয়ার পর ওহাব আলী পেয়াদা তার স্বামীকে হত্যারও হুমকি দেয় কয়েকবার। এ কারণে তার স্বামীকে হত্যা করা হতে পারে তিনি আশঙ্কা করছেন। আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীদুল ইসলাম শাহীন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।