ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:১৪, ২১ নভেম্বর ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

গত সপ্তাহে ঢাকায় সবচেয়ে বড় ইভেন্ট, সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ। ৭ মার্চের ভাষণকে ‘বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যে’র স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এটি এক অনন্য স্মরণীয় অর্জন। এই উপলক্ষে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়, মূলত যা বিশাল জনসমুদ্রের রূপই নিয়েছিল। বিষয়টি আমাদের আবেগাপ্লুত করে সঙ্গত কারণেই। ১৯৭১ সালে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) একাত্তরের সাতই মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দেন সেটি কেবল ঐতিহাসিক বিচারেই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বিশ্বের সর্বকালের সেরা ২৫টি ভাষণের মধ্যে তা আপন গুণে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সাতই মার্চে ঢাকার প্রধান প্রধান রাজপথই কেবল নয়, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মাইকে এই ভাষণ শোনা গেছে। তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার সংবাদ পাওয়ার পরে। টানা দুদিন আমরা জনকণ্ঠ ভবনে বসেই শুনেছি বাইরে মাইকে বাজানো ভাষণ। সত্যি বলতে কি, এতগুলো বছর পরেও যখন এই ভাষণ শুনি তখন শিহরিত না হয়ে পারি না। শুনতে শুনতে বরাবরের মতো আমার দুটি প্রতিক্রিয়া হয়। ধারণা করি এমন প্রতিক্রিয়া আমার মতো লক্ষজনেরই। প্রথমত, বাঙালী হিসেবে পরম গৌরব বোধ হয়। যে মহান নেতাকে আমি কখনও চোখে দেখিনি, মানসপটে তার পূর্ণাঙ্গ অবয়ব ভেসে ওঠে। স্পষ্ট যেন দেখতে পাই ডান হাতের তর্জনী উঁচিয়ে তিনি বলছেন, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।’ দ্বিতীয়ত, চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে। মনে পড়ে এই মানুষটিকেই এ দেশেরই কিছু নাগরিক নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি কিংবা যাদের জন্ম পঁচাত্তরের অব্যবহিত আগে কিংবা পরে- তারা কি এই ভাষণটির জন্য আবেগ বোধ করে? আজকের তরুণ প্রজন্ম যেন দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নির্দেশনা সংবলিত কবিতার মতো আবেদনময় ও হৃদয়স্পর্শী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভাষণটির প্রকৃত গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারে সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মাত্র ২০-২৫ মিনিটের সুগ্রন্থিত ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমেই এটি করা সম্ভব বলে মনে করি। এ নিয়ে নিজস্ব কিছু ভাবনা রয়েছে। এতে ইতিহাস বিকৃতির থাবা থেকেও ভবিষ্যত সুরক্ষা পাবে বলে আশা করতে পারি। কথাগুলো আগেও বলেছি, এ সুযোগে আবারও বলা প্রয়োজন বোধ করলাম। যা হোক, ফিরে আসি বর্তমানে। নাগরিক সমাবেশটি কোনো রাজনৈতিক দলের সমাবেশ নয়, বরং সর্বস্তরের মানুষের সমাবেশ হয়ে উঠেছিল। বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ এতে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ইতিহাসের প্রতিশোধ। একাত্তরের পরাজিত শক্তি একদিন যে ভাষণ নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল, সে ভাষণই আজ বিশ্বঐতিহ্য। পাকিস্তানের প্রেতাত্মা, তাদের পদলেহনকারী ও তোষামোদকারী-চাটুকাররা আর যেন ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ না পায়, সে জন্য বাংলার মানুষকে জাগ্রত থাকতে হবে। শনিবার বিকেলের আকাশ প্রথমে মেঘাচ্ছন্ন ছিল। পরে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ে। এই দৃশ্যপটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এতদিন মেঘে ছেয়েছিল, অন্ধকারে ছিল। আকাশে নতুন সূর্য দেখা দিয়েছে। এই সূর্যই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশ অবশ্যই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। এই আয়োজনের প্রশংসা করতেই হবে। নাগরিক সমাবেশকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও সংলগ্ন এলাকাকেও মনোরম সাজে সাজিয়ে তোলা হয়। রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ এবং জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়। সমাবেশের মূল মঞ্চ বানানো হয়েছিল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য সামনে ছিল আলাদা একটি মঞ্চ। বিটিভি সরাসরি সম্প্রচার করেছিল এই নাগরিক সমাবেশের প্রতিটি বক্তব্য ও পরিবেশনা। অফিসে সবার পক্ষে টিভি দেখা সম্ভব নয়। কিন্তু আছে ফেসবুক। আমরা ফেসবুকেই দেখলাম কাজের ফাঁকে। নবান্ন উৎসবে মাতোয়ারা এবার রাজধানীতে নবান্ন উৎসব হলো ব্যাপকভাবে। গত বছরের তুলনায় এবার সংখ্যায় বেশি আয়োজন ছিল আর মানুষের ভেতরেও ছিল বিপুল উৎসাহ। বুধবার থেকে শুরু করে শুক্রবার এমনকি শনিবারেও ঢাকার বেশ ক’টি এলাকায় বড় বড় উৎসব হয়েছে। পাশাপাশি চলছে পিঠামেলাও। যা নবান্ন উৎসবের অনিবার্য অংশ। বুধবার অগ্রহায়ণের প্রথম দিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নবান্ন তার বার্তা ছড়িয়ে দিল ঢাকা মহানগরে। ‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’- এ মর্মবাণী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় দিনব্যাপী উদযাপিত হলো নবান্ন উৎসব। ঢাকায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে ছিল নৃত্য-গীত-কবিতা আবৃত্তি। আগতদের বরণ করা হয়েছে পিঠাপুলি দিয়ে। নবান্নের আয়োজন ছিল শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চেও। অগ্রহায়ণের প্রথম দিনই। বাঙালীর ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িত একটি উৎসবের দিন। এই উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। নতুন ধান কাটা আর পিঠাপুলির উৎসবে মাতোয়ারা প্রতিটি বাঙালী। নবান্ন উৎসবে যেতে হলে বেশ সকালে বেরুতে হবে বাসা থেকে। শুক্রবারে সাত সকালেই বেরিয়ে উত্তরা থেকে সোজা চলে যাই তেজগাঁওয়ের একটি আয়োজনে। ততক্ষণে বাঁশিবাদন শেষ। তবে এর পরে ছিল সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা। খ্যাতিমান শিল্পীরাও মঞ্চে ওঠেন। একদিকে মেলা, আরেকদিকে মুড়ি-মুড়কি-বাতাসার আপ্যায়ন, অপরদিকে মঞ্চে মনকাড়া সব পরিবেশনা। দারুণ কাটল। উৎসবের উছিলায় নিকটজনদের সম্মিলনও হয়ে গেল। ঢাকা লিট ফেস্ট এবার ঢাকায় ইংরেজী ভাষায় সাহিত্য চর্চাকারীদের বার্ষিক উৎসব লিট ফেস্টও বেশ জমেছে। আগের তুলনায় বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চাকারীদের সংযুক্তিও বেড়েছে। আড্ডা আর কথোপকথনে অভিজ্ঞতাবিনিময়ে বিশ্বসাহিত্যের লেখকেরা আসর জমালেন বাংলা একাডেমিতে। আর সেই অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সাহিত্যের জয়গান গাইলেন বিশ্বের ২৪টি দেশের দুই শতাধিক সাহিত্যিক। একমাত্র জনকণ্ঠই ঢাকা লিট ফেস্ট নিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে একটি স্তবক উদ্ধৃত করছি ঢাকাবাসী সাহিত্যপাঠকের সুবিবেচনার আশায়। লেখা হয়েছে : ‘সত্য হলো এই যে, যে কোন দেশের শিল্প-সাহিত্য-চারুকলা ও সংস্কৃতি পারস্পরিক ভাব বিনিময় ও আদান-প্রদানের মাধ্যমেই সমৃদ্ধ ও আধুনিক হয়ে ওঠে। উপমহাদেশীয় শিল্প-সাহিত্যের কথা বাদ দিলেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রেও কথাটি সমভাবে প্রযোজ্য। অবশ্য কারও কারও মতে, এটি শুধুই এলিটদের উৎসব। এখানে একটি প্রশ্ন অনিবার্যভাবে না উঠে পারে না সাহিত্য কি আমজনতার জন্য, নাকি শুধু এলিট তথা সমাজের প্রাগ্রসর শ্রেণীর জন্য? এ নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে এবং সমাজতান্ত্রিক সাহিত্য তথা গণসাহিত্যের প্রায় অবসানের পর এর কোন সহজ সদুত্তর পাওয়া মুশকিল। লিট ফেস্ট উচ্চারিত একটি মন্তব্যও এ ক্ষেত্রে স্মরণ করা যেতে পারে একজন লেখককে অবশ্যই সমাজসচেতন হতে হবে। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকলে ভাল লেখক হওয়া যায় না। এটিও শিল্প-সাহিত্যের একটি বহুচর্চিত অমীমাংসিত বিষয়।’ এখানে দুজন বিশিষ্ট লেখকের সরেজমিন অভিজ্ঞতার কিছু অংশ তুলে ধরছি। এ থেকে পাঠকরা লিট ফেস্টের টাটকা স্বাদ পাবেন। কামরুল হাসান লিখেছেন: ‘ঢাকা লিট ফেস্টে পাঁচটি ভিন্ন মঞ্চে একই সঙ্গে পাঁচটি অনুষ্ঠান সমান্তরালভাবে চলে, ফলে দর্শক-শ্রোতাকে বেছে নিতে হয় সে কোনটিতে শ্রোতা হবে। এই পাঁচটি মঞ্চের মাঝে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ অডিটোরিয়ামে সবচেয়ে বড় ও প্রধান মঞ্চটি। এখানে অনুষ্ঠান হলে সবাই খুশি হয় কেননা কেবল বসার ব্যবস্থাই আরামদায়ক নয়, এখানে এয়ারকুলার ভাল কাজ করে, বাইরে যেমন হালকা গরম, তা নেই এখানে। কিন্তু চাইলেই তো আপনি পছন্দের অডিটোরিয়ামটি পাবেন না, কেননা আপনার পছন্দের অনুষ্ঠানটি হয়ত পড়েছে লনে, সেখানে উন্মুক্ত চারপাশের দৃশ্য আপনার মনোযোগে চিড় ধরাবে, শব্দ হারিয়ে যাবে বায়ুমণ্ডলে আর প্রখরতা নিয়ে তাপমাত্রা বিব্রত করবে। সারা দিনের অনুষ্ঠান কয়েকটি সময় স্লটে ভাগ করা আছে। আমি একবার কসমিক টেন্টে ঢুঁ মারি, দেখি সেখানে প্রধানত নারী লেখকদের একটি আলোচনা চলছে। শিশুদের গল্প শোনাচ্ছেন। অন্য আরেকটি মঞ্চে। সেখানেই দেখা পাই যীশু তরফদারের। দেখি তার স্ত্রী ছোট্ট শিশুটিকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের প্রথম সন্তান কাছের বুকস্টলে বই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছে। দেখে ভাল লাগল। তাদের সঙ্গে ছবি তুলে আমি বিরাট অডিটোরিয়ামের পাশে যে পুকুর, যার সমুখে বই বিক্রয় কেন্দ্র, যেখানে বড় সিঁড়ি নেমে গেছে পুকুরে, আর কিছু সিমেন্টের তৈরি বসার বেদী, সেই খোলা চত্বরে এসে পড়ি। এর কারণ এখানে বসে আছেন ড. তপোধীর ভট্টাচার্য ও কবি কিন্নর রায়। তপোধীর ভট্টাচার্য শিলচর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করছেন। তিনি গবেষক ও প্রাবন্ধিক। মাঝে মাঝে কবিতাও লিখেন। কিন্নর রায় কবি ও প্রাবন্ধিক। লাল পাঞ্জাবি ও সাদা ধুতি পরিহিত দীর্ঘদেহী এই কবি ও প্রাবন্ধিক সুদর্শন। তাকে ও ড. তপোধীর ভট্টাচার্যকে আমার ‘বাছাই ১০০ কবিতা’ গ্রন্থটি উপহার দেই। তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, ‘বইটা আমার কাজে লাগবে।’ সুমন রহমান তার নিজস্ব বাকভঙ্গিতে সাধুচলিত মিশিয়ে রসিয়ে লিখেছেনÑ ঢাকা লিট ফেস্ট শুরু“হইবার পর সাহিত্যিক জাতীয়তাবাদ জাগিয়া উঠিয়াছিল। গত দুতিন বছরে বেশ কয়েকটা ‘জাতীয়’ সাহিত্য সম্মেলনের ঘোষণা পাওয়া গেছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একটাও আলোর মুখ দেখল না। অংকুরে বিনষ্ট হৈয়া গেল। আত্মাভিমানী জাতীয়তাবাদ দিয়া ফেসবুকিং চলে, কিন্তু বাস্তবে একটা দক্ষযজ্ঞ করতে চাইলে আরও কমিটমেন্ট লাগবে। রিসোর্স লাগবে। ডেডিকেশন লাগবে। যোগাযোগও লাগবে। ভবিষ্যতে যারা বাংলা সাহিত্য সম্মেলনের পরিকল্পনা করতেছেন, তারা নিশ্চয়ই সেই রকম প্রস্তুতিসহ আগাইবেন। তারচে বরং এইটারে আরও দেশীয় বানায়ে ফেলা সহজ। এমনিতেই এই অনুষ্ঠানরে এলিট ভাববার সঙ্গত কারণ দেখি না। ইংলিশ ভাববারও কারণ দেখি না। মহাত্মা আদুনিসের কল্যাণে লিট ফেস্ট যে মাল্টিলিঙ্গুয়াল চেহারা পাইল, সেইটা বরং কাজের হইছে। তদুপরি, লিট ফেস্টের বিভিন্ন মঞ্চে বাংলা ক্রমে দাপুটে হৈয়া উঠতেছে। হে ফেস্টিভ্যালে মিডল ক্লাস যতখানি সঙ্কুচিত আর মাইনর ছিল, ঢাকা লিট ফেস্টে আর সেরকম নেই। বাংলাভাষী মধ্যবিত্তই ক্রমে এর দখল নিতেছে। শুধু মঞ্চের নয়, ভাষারও। গতকালই দেখিলাম, বাংলার কবিরা বীরদর্পে নিজেদের কবিতার ইংরাজী অনুবাদ আবৃত্তি করিতেছেন! দর্শকের সারিতে অবশ্য কোন বিদেশী দেখি নাই। কিন্তু সর্বত্র একটা উত্তেজনা ছিল, যেন আদুনিস তাহাদের কবিতা শুনিতেছেন! আমার অবশ্য লিট ফেস্টের এই দেশীয় চেহারা অতখানি ভাল লাগতেছে না। আরেকটু বিদেশী থাকলেই যেন ভাল হইতো। দর্শকের বেশে আসিয়া বিদেশী সাহিত্যের সাথে সেলফি তুলিতাম! ১৯ নবেম্বর ২০১৭ [email protected]
×