ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্টার্নি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রসূতির পেটে লাথি মারার অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২০ নভেম্বর ২০১৭

ইন্টার্নি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রসূতির পেটে লাথি মারার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ সদ্য সন্তান প্রসব হওয়া আমেনা বেগম (২২) নামের এক রোগীর পেটে লাথি মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এ ঘটনায় রোগীর স্বামীকেও মারধর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর চিকিৎসকেরা রোগীর জরুরী অস্ত্রোপচার করেন। রোগী আমেনা বেগম নগরীর ১২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকার বাসিন্দা শাহিন ঢালীর স্ত্রী। আমেনা বেগমের স্বামী শাহিন ঢালী জানান, তার স্ত্রী আমেনা বেগম গত ১২ দিন আগে নিজ বাসায় সন্তান প্রসব করেন। এরপর থেকে তার রক্ত শূন্যতার পাশাপাশি পেটে ব্যথা দেখা দিলে শনিবার রাতে আমেনাকে শেবাচিম হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাতে একজন ইন্টার্নি চিকিৎসক তার স্ত্রীকে দেখে এক ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করার পরামর্শ দেন। এরপর রক্ত ম্যানেজ করা হলেও ওই চিকিৎসকের আর খোঁজ মেলেনি। এরপর চিকিৎসকদের কক্ষে গিয়ে একাধিকবার বলা হলেও আর কোন চিকিৎসক আসেনি। শাহিন ঢালী আরও জানান, রবিবার সকাল সাতটার দিকে রাকিব নামের এক ইন্টার্নি চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাপত্রে উল্লেখ করেন, ‘রক্ত ম্যানেজ করতে না পারায় রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না’। এ সময় রক্তের ব্যাগ ম্যানেজের পরেও চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে এমন কথা কেন উল্লেখ করেছেন এ নিয়ে রোগীর স্বামী শাহিন ও ইন্টার্নি চিকিৎসক রাকিবের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। এ সময় একদল ইন্টার্নি চিকিৎসক এসে রোগীর সামনেই শাহিন ঢালীকে মারধর করে। এ সময় তাকে রক্ষার জন্য তার অসুস্থ্য স্ত্রী আমেনা বেগম এগিয়ে এলে এক চিকিৎসক তার (আমেনা) পেটে লাথি মারেন। ফলে রোগীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ শিখা সাহা বলেন, রোগীর আগে থেকেই রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রবিবার সকালে রোগীর অপারেশন করা হবে, এ কথা আগেই স্বজনদের জানানো সত্ত্বেও তারা ধৈর্য না ধরে ইন্টার্নি ডাক্তারদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় ইন্টার্নি চিকিৎসকেরা প্রতিবাদ করায় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এর পরক্ষনেই রোগীর অস্ত্রোপাচার সম্পন্ন করা হয়েছে।
×