ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশের ২ বিমানবন্দরে বিনিয়োগ করতে চায় ভারত

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২০ নভেম্বর ২০১৭

দেশের ২ বিমানবন্দরে বিনিয়োগ করতে চায় ভারত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের দুই এয়ারপোর্ট-বাগেরহাটে খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহ জানিয়েছে ভারত। শীঘ্রই এ দুটি বিমানবন্দরের কাজ শুরুও হবে। রবিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সাক্ষাত করে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ আগ্রহের কথা জানান। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দু’দেশই লাভবান হতে পারে। এ সময় হাইকমিশনার মনিপুরের ইম্ফলে অনুষ্ঠিতব্য নর্থ ইস্ট সামিটের বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। বিমানমন্ত্রী বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট বিশেষ করে পেট্রাপোল সীমান্তে সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট ও মাল্টিপল ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত নিরসনের বিষয়টি তুলে ধরলে হাইকমিশনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দু’দেশের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১৯৭৮ সালে স্বাক্ষরিত এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট (এএসএ) রিভিউয়ের কথা জানালে রাশেদ খান মেনন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। খানজাহান আলী বিমানবন্দর নির্মাণ ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিনিয়োগের আগ্রহ জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, এর মাধ্যমে দুই দেশের আকাশ ও সমুদ্রপথে বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এ ছাড়াও বৈঠকে ঢাকা-গুয়াহাটি-বাগডোগরা রুটে দ্রুত বিমান যোগাযোগ চালুর বিষয়টিও আলোচিত হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ সম্পর্কে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জনকণ্ঠকে বলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদার করতে সম্প্রতি ঢাকায় তৃতীয় ধাপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ প্রকল্পে ভারত সরকার সহজ শর্তে ঋণ দেবে। ওই চুক্তির আওতায় দেশে ১৭ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সহজ শর্তে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে ভারত, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় এ ঋণ দেবে ভারত। এ ঋণের আওতাভুক্ত ১৭ প্রকল্পের মধ্যে সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ প্রকল্পও রয়েছে। এ উন্নয়ন প্রকল্পে বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করে বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ, রানওয়ে সম্প্রসারণ, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, টার্মিনাল ভবন আধুনিকীকরণসহ বেশ কিছু প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জানা গেছে, ঋণের শর্তের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ঠিকাদার এসব প্রকল্পের কাজ পাবেন এবং পূর্ত কাজ হলে ৬৫ ভাগ মাল ও সেবা ভারত থেকে সংগ্রহ করতে হবে। অন্যান্য ৩৫ ভাগ কাজ দেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করতে পারবে।
×