ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীতে স্মরণসভা

১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলা ১৪ বছরেও সুরাহা হয়নি

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলা ১৪ বছরেও সুরাহা হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ১৮ নবেম্বর ॥ ২০০৩ সালে ১৮ নবেম্বর রাতের আঁধারে ৪ দিনের পুত্র সন্তান কার্তিক শীলসহ ১১ জনকে পুড়িয়ে মেরেছিল দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকান্ডের কোন কূলকিনারা হয়নি। তাছাড়া ওই মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান চৌধুরী বহাল তবিয়তে রয়েছেন বলে অভিযোগ মামলার বাদী বিমল শীলের। তাছাড়া এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের পরিবারকে সার্বিক সাহায্য সহযোগিতা করার ঘোষণা দিলেও এ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী এ ঘটনার খবর রাখেননি বলেও বাদী জানান। শনিবার এ ঘটনার ১৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করেছে নিহতের পরিবার। এ উপলক্ষে নিহতদের সমাধিস্থলে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন। শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে বিভিন্ন সংঘটনের নেতাকর্মীরা বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। জানা যায়, ২০০৩ সালে ১৮ নবেম্বর সাধনপুর ইউপির শীলপাড়া গ্রামের তেজেন্দ্র লাল শীলের বাড়ির চারদিক ঘিরে দরজা-জানালা বন্ধ করে অগ্নি সংযোগ করে দুর্বৃত্তের দল। বাড়ির মধ্যে থাকা ১২ সদস্যের মধ্যে ১১ সদস্যই পুড়ে আঙ্গার হয়ে যায়। একমাত্র সদস্য মামলার বাদী বিমল শীল ঐদিন কোন রকম নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হন। ঘটনার পর তৎকালীন ভারতের হাই কমিশনারসহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন। মামলার বাদী বিমল শীল অভিযোগ করে বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পর সিআইডিতে হস্তান্তর করে পুলিশ প্রশাসন। এ মামলায় ৩ বার প্রধান আসামি আমিনুর রহমান চৌধুরীকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিল আদালতে। বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে সর্বশেষ চট্টগ্রাম জেলার সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার লাসিং প্রু আমিনুর রহমানকে অভিযুক্ত দেখিয়ে অভিযোগপত্র দায়ের করে। ৫ বছর পূর্বে হাইকোর্টে আমিনুর রহমান মামলার তদন্ত কার্যক্রম স্থগিত আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত রয়েছেন বলে জানান মামলার বাদী। উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি প্রদীপ গুহ বলেন, মামলার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত এ মামলার কোন সুরাহা হয়নি। নৃশংস এ হত্যাকান্ডের সনাতনী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অচিরেই খুনীদের ফাঁসি দাবি করেন।
×