ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীতের পোশাক নিয়ে লোকসান আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

শীতের পোশাক নিয়ে লোকসান আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ দেশের সর্ববৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র। বছরের আট মাস বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকে এখানকার ব্যবসায়ীরা। শীতকালে আমিন মার্কেটের ২৫-৩০টি দোকানের ব্যবসায়ীরা আমদানি করে পুরাতন শীতের কাপড়। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয় তাইওয়ান, জাপান, কোরিয়া থেকে পুরনো কাপড়ের গাঁট। মূলত কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ ও মাঘ এ চার মাস পুরনো কাপড়ের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকানে তাকে তাকে সাজানো আছে কাপড়ের গাঁট। ব্যবসায়ীরা জানান, ‘আমরা তাইওয়ান, কোরিয়া ও জাপান থেকে আমদানি করে থাকি। গরিব-বড় লোক সবাই কম দামে এ কাপড় কিনে ব্যবহার করে।’ আমদানিকৃত গাঁটগুলোর মধ্যে বেবি পোশাক, ছোয়েটার, জ্যাকেট, গরম কাপড়, কম্বলসহ নানা ধরনের কাপড় থাকে। এসব পণ্যের ক্রেতা নিম্ন আয়ের লোকজন হলেও বড় লোকরাও এগুলো ব্যবহার করে। এখন শীত মৌসুম হলেও দেখা নেই শীতের যে কারণে জমে ওঠেনি ব্যবসা। তাই লোকসান আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, ‘আমরা অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছি কিন্তু এখনও বাজার জমে ওঠেনি। কিভাবে মূলধন তুলব বুঝতে পারছি না। এদিকে সরকার অনেক টাকা ট্যাক্স নির্ধারণ করেছে।’ এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় এক কোটি মানুষ শীতকালীন এসব পণ্যের ওপর নির্ভর বলে এখানকার ব্যবসায়ীদের দাবি।
×