ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জেটি সঙ্কটে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

জেটি সঙ্কটে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চরম বিঘ্ন ঘটছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাস। অপারেটররা বলছেন, জেটি সমস্যায় সরঞ্জাম বোঝাইয়ে একেকটি লাইটার জাহাজকে অপেক্ষা করতে হয় তিন-চার দিন পর্যন্ত। তাই প্রতিদিন চার-পাঁচটি লাইটার জাহাজে সরঞ্জাম বোঝাই হবার কথা থাকলেও; কোন কোন দিন একটিও হয় না। এতে বন্দরে জাহাজ আর কন্টেইনার জট তীব্র হচ্ছে। সঙ্কট লাঘবে সদরঘাটে অব্যবহৃত জেটি ব্যবহারের সুযোগ অথবা নতুন জেটি তৈরির অনুমতি চেয়েছে সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম বন্দরের মোট পণ্যের প্রায় ৪৮ আর খোলা পণ্যের ৮৫ ভাগই খালাস হয় বহির্নোঙ্গরে। বড় জাহাজ থেকে লাইটারে খালাস হওয়া এসব মালামালের পরিমাণ বছরে কম বেশি এক কোটি টন। বহির্নোঙ্গরে যাবার আগে লাইটার জাহাজগুলো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করে কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট জেটি থেকে। তবে অভিযোগ, সেখানে বার্থ ও নাব্য সঙ্কট, ক্রেন বিকল থাকা আর বিভিন্ন ধরনের পণ্য ওঠা-নামার কারণে লাইটার জাহাজগুলোতে সরঞ্জাম বোঝাইয়ে বেগ পেতে হয়। যদিও জেটির ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের দাবি ভিন্ন। বহির্নোঙ্গরে পণ্য নামানোর কাজে নিয়োজিত ২৯টি প্রতিষ্ঠান। যাদের রয়েছে গ্র্যাব, পে-লোডার আর স্ক্যাভেটরসহ প্রায় আড়াই শ’ সরঞ্জাম। সংশ্লিষ্টরা জানান, জেটি সংক্রান্ত সমস্যায় উৎপাদন ক্ষমতা নেমেছে অর্ধেকে। আর বড় জাহাজগুলো বসে থাকায় গুনতে হয় ডেমারেজ। তবে এ সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের জাহাজ আর কন্টেইনার জটের কারণে লাইটার জাহাজের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া একটি বড় কারণ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
×