ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে রাজশাহী রেশম কারখানা চালুর উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

অবশেষে রাজশাহী রেশম কারখানা চালুর উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে হলেও শীঘ্রই রাজশাহী রেশম কারখানা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা কারখানা পরিদর্শন করে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের গত ১৪ নবেম্বর অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের আলোকে রেশম কারখানাটি স্বল্প পরিসরে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে তিনি কারখানা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কারখানায় সংরক্ষিত বিভিন্ন মেশিন সম্পর্কে দক্ষ ব্যক্তিদের মতামত সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় তিনি যে সমস্ত মেশিন ভাল আছে তা পরীক্ষা করে চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। শীঘ্রই এ কারখানা স্বল্প পরিসরে হলেও চালু করার বিষয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ফজলে হোসেন বাদশা। এ সময় রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নূর-উর-রহমান, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব আনিস-উল-হক ভূইয়া, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. নজরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. সাবরিনা নাজ, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (সম্প্রসারণ ও প্রেষণা) এমএ মান্নান, সিবিএ সভাপতি আবু সেলিমসহ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধাতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর রেশম কারখানাটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে সরকার প্রায় ১০ কোটি টাকার নতুন যন্ত্রপাতি কিনে দিয়ে কারখানাটির আধুনিকায়ন করে। তবে ২০০২ সালের ৩০ নবেম্বর মূলধন না থাকার অজুহাতে কারখানাটি বন্ধ করে দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। এতে প্রায় ৩০০ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। পাশাপাশি রেশমকে ঘিরে আরও প্রায় ৫০ হাজার পলুচাষী বিপাকে পড়েন। সে সময় আন্দোলন করেও কারখানাটি চালু করতে পারেননি রাজশাহীবাসী। হতাশা থেকে এ অঞ্চলের পলুচাষীরাও চাষ কমিয়ে দেন। এদিকে রাজশাহী রেশম কারখানাটি খুলে দেয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, এ কারখানায় কর্মচারী ছিলেন প্রায় ৩০০। কারখানা বন্ধ করে দেয়ার পর রাজশাহীবাসী আন্দোলন করেছে। জামাত খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজশাহীর ব্র্যান্ডিং হলো রেশম। রেশমকে ঘিরে রাজশাহীর অনেক ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে। কারখানাটি চালু হলে আবারও নতুন স্বপ্ন দেখবেন রেশমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
×