ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেরানীগঞ্জে জমে উঠছে পুরনো শীতবস্ত্রের বাজার

প্রকাশিত: ০৩:১০, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

কেরানীগঞ্জে জমে উঠছে পুরনো শীতবস্ত্রের বাজার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৮ নবেম্বর ॥ শীত মৌসুমে জমে উঠেছে পুরনো কাপড়ের দোকানগুলো। হঠাৎ করে দু’দিন ধরে শীত অনুভূত হওয়ায় পুরনো কাপড় কেনার জন্য ফুটপাথে ভিড় করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ বছর শীত বেশি পড়বে । পুরনো কাপড়ের ব্যবসাও ভাল হবে। ফুটপাথে শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম দ্বিগুণ। আমদানীকারকদের অধিকাংশ চট্টগ্রামের। সেখান থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের পাইকাররা খরিদ করে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বাজার ও সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাথগুলোতে ভ্যানে করে ধুমসে বিক্রি হচ্ছে শীতবস্ত্র। বিশেষ করে কদমতলী গোলচত্ত্বর, জিনজিরা, আগানগর, চনকুটিয়া, কালিগঞ্জ, হাসনাবাদ, কলাতিয়াসহ কেরাণীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতারা ভিড় করছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ভ্যান গাড়িতে ও কাঁধে ঝুলিয়ে ফেরী করে শীতবস্ত্র বিক্রি করছে হকাররা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই খুশি। কম দামে খরিদ করতে পারছে জাপান, কোরিয়া, চায়না, স্পেন, ইংল্যান্ড, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার শীতবস্ত্র। এ বিষয়ে আগানগরের পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী জামিল হোসেন বলেন, শীত মৌসুমে এক মাস আগ থেকেই পুরনো শীতবস্ত্রের বেচা-কেনা শুরু হয়। মহাজনরাও পুরনো কাপড়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। জিনজিরা বাজার এলাকার পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন শীতপ্রধান দেশ থেকে শীতের পোশাক আমদানী করা হয়। এগুলো বিভিন্ন নামে আসে, দামও বিভিন্ন। মুনস্টার, কিংস্টার, ডাবলসেভেন, কে-টু, ইয়াংস্টার ও ফুটবল এই সমস্ত নামে পুরনো কাপড়ের বেল্টগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তিনি আরও বলেন, এক ধরনের অসাধু পুরনো কাপড় আমদানীকারকরা তাইওয়ান থেকে আমদানীকারকরা বেল্টের গায়ে জাপানি নকল শীলমোহর লাগিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছে।
×